রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, কালের খবর :
শৈলকুপায় একটি ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে ধর্ষক ও তার পরিবার ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে। তারা নিজেরা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের হাত কেটে ও ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ধর্ষণ মামলার বাদী ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এখন ধর্ষণ মামলার বাদীসহ তার পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক রাব্বুল।
আজ দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন মামলার বাদী মো. ইনসান আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ৩১শে মে শৈলকুপার মীর্জাপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে তার প্রতিবন্ধী বোন তানিয়া সকালে কাপড় ধুতে কুমার নদীতে যায়। এ সময় ধর্ষক রাব্বুল তার বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার হাত ধরে পাটক্ষেতে নিয়ে বোনের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষক রাব্বুলের হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দেখিয়ে বোনকে ভয় দেখিয়ে বলে কাউকে যেন এ কথা না বলে।
ধর্ষণের খবরটি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ধর্ষিতার বড় ভাই মো. ইনসান আলী বাদী হিসেবে গত ১লা জুন শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা করার পর থেকেই ধর্ষক রাব্বুলের পরিবার ও সামাজিক দলের নেতারা সাজানো ও আজগুবি অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে, যাতে ধর্ষণ মামলাটি তুলে নেয়। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৩ই জুন রাতে নিজেরা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের হাত কেটে, ঘরের বেড়া ভেঙ্গে বাদী ও স্বাক্ষীদের নামে মিথ্যা বানোয়াট সাজানো ডাকাতির অভিযোগ শৈলকুপা থানায় দায়ের করে। এছাড়া বাদীর পরিবার ও স্বাক্ষীদেরকে প্রতিনিয়ত জীবননাশের হুমকী দিচ্ছেন ধর্ষকের পরিবার।
পুলিশ ও ধর্ষক পরিবারের ভয়ে বাদী ও সাক্ষীরা গ্রামে যেতে পারছে না। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।