রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
জ্বীন তাড়াতে প্রবাসীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা, কবিরাজ দম্পতি গ্রেফতার। কালের খবর

জ্বীন তাড়াতে প্রবাসীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা, কবিরাজ দম্পতি গ্রেফতার। কালের খবর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, কালের খবর :: সিদ্ধিরগঞ্জে জ্বীন তাড়ানোর কথা বলে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় পুলিশ কবিরাজ দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে।

বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহনাজ আক্তার শিখা (২৫) ঢাকার সাদ্দাম মার্কেট এলাকার শাহ আলমের মেয়ে।

এ ঘটনার কবিরাজ ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিনকে আটক করেছে পুলিশ। ফারুক সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি চৌধুরীপাড়া বিল্লাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

নিহত শিখার মা সুরাইয়া বেগম জানান, এক আত্মীয়ের মাধ্যমে খোঁজ মিলে কবিরাজ ফারুক হোসেনের। মেয়েকে ভালো করার জন্য কবিরাজ ফারুক ও তার স্ত্রী জেসমিন দম্পতির সাথে ১০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। কবিরাজ অগ্রিম সাত হাজার টাকা নেয়। প্রথমে ঝাড়-ফুকের মাধ্যমে চলে চিকিৎসা।

এক পর্যায়ে কবিরাজ দম্পতি বলে, আপনার মেয়ের ওপর থেকে জ্বীনের খারাপ আছর বিদায় করতে হলে তাকে আমাদের বাসায় নিয়ে যেতে হবে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি চৌধুরীপাড়ায় কবিরাজের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসা হয় শিখাকে। সেখানে কবিরাজ ফারুক ও তার স্ত্রী জেসমিন চিকিৎসার নামে শুরু করে শারীরিক নির্যাতন। শিখার আর্তচিৎকারেও থামেনি তাদের নির্যাতন।

মেয়ের চিৎকার দেখে প্রতিবাদ করলে তারা বলে, আমরা তো আপনার মেয়েকে মারছি না। মারছি তার সাথে থাকা খারাপ জ্বীনকে। আর চিৎকার তো সে করছে না, করছে ওই খারাপ জ্বীন। আপনার সহ্য না হলে পাশের ঘরে গিয়ে বসে থাকেন। একপর্যায়ে কবিরাজ ফারুক ও তার স্ত্রী জেসমিন শিখার হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে বুকের ওপর উঠে আঘাত করতে থাকে। মুখে কাপড় ঢুকিয়ে গলা চেপে ধরে রাখে। এভাবে চলে দুদিন।

সুরাইয়া বেগম জানান, বুধবার দুপুরে মেয়েকে কবিরাজের বাড়ি রেখে সাদ্দাম মার্কেট নিজে বাড়িতে যাই ব্যক্তিগত কাজে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় কবিরাজ ফারুক ফোন করে বলে আপনার মেয়েকে খারাপ জ্বীন টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আপনি তাড়াতাড়ি আসেন। এখবর শুনে কবিরাজের বাড়িতে এসে দেখি মেয়েকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। আমাদের ব্যক্তিগত ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে দেখে শিখা মারা গেছে কয়েক ঘন্টা আগে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় শিখা নামের এক তরুণীর মুত্যৃ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে শিখার লাশ উদ্ধার করেছি। কবিরাজ দম্পতিকে আটক করেছি। শিখার মা এ ঘটনায় রাতেই একটি মামলা দায়ের করেছেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com