রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
মোবাইল ব্যংকিং নতুন কৌশলে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা ।কালের খবর

মোবাইল ব্যংকিং নতুন কৌশলে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা ।কালের খবর

কালের খবর রিপোর্ট :ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে আবারও নতুন কৌশলে  সক্রিয় হয়ে উঠেছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। পুরান কৌশলের পাশাপাশি এখন তারা নতুন কিছু পন্থা অবলম্বন করে সাধারণ মানুষের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে।

আগে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা মলম, চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহার করে মানুষকে অচেতন করার পর মালামাল নিয়ে চম্পট দিত। কিন্তু এখন তারা মালামাল নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয় না, ভিকটিমের মোবাইল দিয়ে পরিবারের সদস্যদের ফোন করে বলে আপনার আত্মীয় এখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। এখনই টাকা পাঠানো না হলে উনাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে টাকা পাঠানোর পর তারা ভিকটিমের মোবাইল বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যায়।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম এ তথ্য জানান।এর আগে ডিবি পুলিশের চারটি টিম গত ২৪ ঘন্টা রাজধানীর  উত্তরা, মিরপুর, নিউমার্কেট, গুলিস্তান, কুড়িল বিশ্বরোড, ফকিরাপুল ও জয়কালি মন্দির এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ৬৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান চেতনা নাশক ট্যাবলেট, ওষুধ মিশ্রিত জুস, খেজুর, ৭টি চোরাই মোবাইল সেট ও ১টি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়।

অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ও কমলা রেলস্টেশনে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে প্রথমে সখ্য গড়ে তোলে তারা। পরে তাদের দলের অন্য সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য খেতে আমন্ত্রণ জানায়।

টার্গেটকৃত ব্যক্তি রাজি হলে তাকে চেতনানাশক মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য খাওয়ানো হয়। এসময় বিশ্বাস অর্জনের জন্য তারা নিজেরাও সাধারণ খাবার গ্রহণ করে। চেতনানাশকের প্রভাবে টার্গেটকৃত ব্যক্তি অচেতন হয়ে গেলে তারা মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এক্ষেত্রে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান, ক্রিম জাতীয় বিস্কিট ইতাদি ব্যবহার করে। তবে এবার রোজা উপলক্ষ্যে খেঁজুরেও চেতনানাশক মিশিয়ে ব্যবহার করছে তারা।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ভ্রমণে থাকা অবস্থায় অপরিচিত কোনো ব্যক্তির দেয়া খাবার গ্রহণ করা যাবে না, এই বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, যাদের ধরা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই আদালত থেকে জামিন বা খালাসপ্রাপ্ত। এসব ঘটনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই ভিকটিমকে ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করতে হয়। ফলে আইনি দুর্বলতার কারণে আসামিরা জামিন বা খালাস পেয়ে যায়। পরে জেল থেকে বের হয়ে তারা কৌশল বদলে আবার একই কাজ শুরু করে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com