বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জামাল-মুকুট। কালের খবর তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কালের খবর আমতলীতে ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন। কালের খবর নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন সম্পন্ন : সালাম সভাপতি, ছনি সম্পাদক নির্বাচিত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর
গর্ভবতী না তবুও কার্ড দিতে টাকা নিলেন আব্দুস সামাদ মেম্বার। কালের খবর

গর্ভবতী না তবুও কার্ড দিতে টাকা নিলেন আব্দুস সামাদ মেম্বার। কালের খবর

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, কালের খবর : সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওবায়দুল্লাহ। তাদের সন্তানের বয়স তিন বছর। তিন বছর আগে ওবায়দুল্লাহর স্ত্রী মমতাজ বেগম যখন গর্ভবতী ছিলেন তখন তার একটি গর্ভবতী কার্ড হয়েছিল। সেই কার্ডের মাধ্যমে তিনি চার বার টাকা উঠিয়েছিলেন। মমতাজ বেগমের গর্ভে এখন কোন সন্তান নেই তবুও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সামাদ গর্ভবতী কার্ড দেওয়ার নাম করে মমতাজ বেগমের স্বামীর কাছ থেকে মাস দেড়েক আগে নিয়েছেন ৭ হাজার টাকা। আর কার্ড হলে মেম্বারকে আরো এক হাজার টাকা দিতে হবে।

সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টির সত্যতা জানতে যাওয়া হয় ওবায়দুল্লার বাড়ি। সেখানে যেয়ে পাওয়া যায় মমতাজ বেগম ও তার শাশুড়ী ফতেমা খাতুনকে।

এ সময় মমতাজ বেগম গর্ভবতী কি না তা জানতে চাইলে মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমি আড়াই মাস যাবৎ গর্ভবতী’। গর্ভবতী কার্ড হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দেড় মাস আগে রাতে মেম্বার আমাদের বাড়িতে এসে কাগজপত্র নিয়ে গেছে। আগে কার্ড হয়েছিল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে। এবার মেম্বার স্বয়ং আমাদের বাড়িতে এসে কাগজপত্র নিয়ে গেছে।’

কোন টাকা লেগেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মমতাজের শাশুড়ি ফতেমা খাতুন বলেন, ‘আর বলোনা বাবা টাকা ছাড়া কি কোন কাজ হয়?’ কত টাকা লেগেছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কত টাকা লেগেছিল তা আমাদের খোকার বাপ বলতে পারবে। তবে এখনও ১ হাজার টাকা বাকি আছে। কার্ড হলে বাকি ওই ১ হাজার টাকা দিতে হবে।’

আমাদের কাছে তথ্য আছে আপনিতো গর্ভবতী না, এবার কার্ড হলে কর্তৃপক্ষ আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখবে আসলে আপনি গর্ভবতী কি না? এমন কথার জবাবে মমতাজ বেগম বলেন, ‘সত্যি বলতে কি আমি গর্ভবতী না তবুও মেম্বার আমাদের বাড়িতে এসে বলেছে, তোমার আগেতো কার্ড হয়েছিল, এজন্য এবারও কার্ড হবে’। তবে এ ব্যাপারে কাউকে কিছু জানাতে নিষেধ করেছিল মেম্বার।

এদিকে আরো জানা যায়, ওবায়দুল্লাহর বাবা ওমর আলীর কাছ থেকেও মেম্বার আব্দুস সামাদ ১৮ মাসের কার্ড দেওয়ার নাম করে নিয়েছে ৫ হাজার টাকা।

স্থানীয়রা জানান, মেম্বার আব্দুস সামাদ টাকা ছাড়া এলাকার কাউকে কোন প্রকার কার্ড দেন না। যারা টাকা দেন শুধুমাত্র তাদের কার্ড দেন। কেউ তার কাছে গেলে আগে থেকে যাছাই করেন যে তিনি টাকা দিতে পারবে কিনা?

তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেই নি। আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে এগুলো রটাচ্ছে।’

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com