রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর : দীর্ঘ বছর থেকে কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্রে কান্দিরপাড় রামঘাট এলাকায় টাওয়ারের উত্তর পাশে খোরশেদ আলম পৌর বিপনী মার্কেটের ৩য় তলায় চৌধুরী ডেন্টাল সার্জারী সেন্টার নামীয় বিশাল বিশাল সাইন বোর্ড হাকিয়ে কথিত ডেন্টিস্ট মাঈন উদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘ দিন থেকে রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে।
নামের পাশে বি.এস.সি.ইন ডেন্টিষ্ট(সি ইউ), ডি.এ.টি.ডি(ঢাকা), ডি.ডি.এস. এন্ড এইচ (ভারত), বি.এইচ.এম (স্বাস্থ্য) এবং দন্ত প্রযুক্তিবিদ সহ নানাহ পদবী ভিজিটিং কার্ডে লিখে তিনি দন্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন অথচ পোষ্ট পদবীর সাথে নেই মিল, নেই কোন সনদপত্র, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, বিনা সনদে চিকিৎসক।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপী অভিযানে এসব তথ্য মিলেছে।
জানা যায়, ভূয়া ডেন্টিস্ট মাঈন উদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘ দিন থেকে জেলার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের দন্ত প্রযুক্তিবিদ হিসেবে অর্থ্যাৎ সরকারি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে চাকুরী করে আসছে।
একজন স্বাস্থ্য সহকারী হয়েও সে কুমিল্লা কান্দিরপাড় এলাকায় এভাবে দীর্ঘ দিন থেকে নির্দিধায় রোগীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার মাধ্যমে বহু দন্ত রোগীদের ব্যপক ক্ষতি করারও অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফজলে এলাহী ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা: মো: নাজমুল আলম, পুলিশ প্রশাসনসহ ভ্রাম্যমান টিম সনদ না থাকাতায় ও বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ডেন্টিস্ট মাঈন উদ্দিনকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন এবং সাথে সাথে চৌধুরী ডেন্টাল সার্জারী সেন্টার চেম্বার সিলগালা করেন।
জানা যায়, সে প্রতিদিন সিরিয়ালের মাধ্যমে অসংখ্য রোগী দেখেন।
রোগীদের কাছ থেকে ভিজিট হিসেবে ৪শত টাকা এবং দন্ত রোগের ধরণ অনুযায়ী কন্ট্রাকের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়ে রোগীদের সাথে বহুদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিল। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য বান্ধব সরকার।
তাই সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ত্বত্তাবধানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দেশের চিকিৎসা সেবার মান আরো বৃদ্ধি, জন সচেতনতা ও জনস্বার্থে এসব ভ্রাম্যমান আদালতের প্রতিনিয়ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফজলে এলাহী।