মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুর প্রতিনিধি, কালের খবর :
চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন যানবাহন চালকরা। শনিবার দুপুরে চাঁদপুর–ফরিদগঞ্জ সড়কের গাছতলা এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সম্প্রতি সেতুটিতে মোটরসাইকেল চলাচলে পাঁচ টাকা টোল ধার্য করে কর্তৃপক্ষ। পরে টোল বন্ধের দাবিতে গত সোমবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন বাইকাররা। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার সাধারণ যানবাহনের চালকরাও যোগ দেন আন্দোলনে।
জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১-১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন চালকরা। পরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২০০৫ সালে ডাকাতিয়া নদীর ওপর চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে নির্মাণ করা হয় চাঁদপুর সেতু। ২০০৫ সালে উদ্বোধন করা হয়। নির্মাণ ব্যয় ছিল ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ব্যবহার করে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘ ১৯ বছরে সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের দ্বিগুণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হলেও বন্ধ হয়নি টোল আদায়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চালকরা। দাবি জানান টোল বন্ধের।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মারুফ হোসেন বলেন, এই সেতুতে টোল আদায়ে এবারও তিন বছরের ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর্থিক পরিমাণ ৯ কোটি টাকার বেশি। চালকরা টোল না দেওয়ার পক্ষে আন্দোলন করলেও কোনো স্মারকলিপি বা চিঠি দেননি। অনেক আগে চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত শামছুল হক ভূঁইয়া টোল বন্ধের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
মোটরসাইকেল থেকে পাঁচ টাকা করে টোল আদায়ের বিষয়ে ইজারাদাররা ব্যাখ্যা দিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
ইজারাদার জসীম উদ্দীন বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী চাঁদপুর সেতুতে টোল আদায় করা হচ্ছে। সেখানে মোটরসাইকেলও আছে।
টোল আদায়ে রসিদ না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন শত শত সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাতায়াত করে। এত দ্রুত সবাইকে রসিদ দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু আমরা বড় যানবাহনগুলোতে রসিদ দিয়ে থাকি।