ফারুক শাহজী : বড় বড় মাদক কারবারিরা সব সরকারের সময় গড়া সুবিধাভোগী কিছু লোক। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন সাবেক আইজিপি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক নুরুল আনোয়ার। কালের খবরের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় কারা জড়িত, কে আমদানি করে, টাকা নিয়ন্ত্রণ করে কে? এরা আসলে সাধারণ লোক নয়। বড় বড় মাদক কারবারিরা সব সরকারের সময় গড়া সবসময় ক্ষমতাভোগী, সুবিধাভোগী আশেপাশের কিছু লোক। এদের উপরে যদি চাপ না পড়ে, অভিযানের সাময়িক সুফল এখন পেলেও ছয় মাস পরে পরিণতি কি হবে? একই থাকবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না। তিনি আরও বলেন, মাঝখান থেকে কিছু লোক মারা গেল। যারা মারা গেল তারা কোন পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ী? এরা নিম্ন অথবা মধ্যমপর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ী। মাদক যারা ব্যবসা করে বা আমদানি করে তাদের কাছ থেকে কিনে এরা বিক্রি করে। এটাকেও আমরা সমর্থন করি না।
এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল আনোয়ার বলেন, মাদকাসক্তি একদিনেই এ পর্যায়ে আসেনি, দীর্ঘদিনে সমাজে মাদকের এ ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এখন যারা মাদক নির্মূলে অভিযান পরিচালনা করছেন, এতদিন তারা কোথায় ছিলেন? যখন থেকে মাদকের এই ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনেছেন তখনই যদি এর ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হতো তাহলে তো পরিস্থিতি আজকের এ পর্যায়ে আসতে পারত না। মাদক প্রতিরোধ ব্যবস্থা আগে থেকেই গ্রহণ করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, যেকোনো অপরাধী দমনের জন্য আইন আছে, আছে থানা। পুলিশ ও আদালতও রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আছে, দেশেবাসী ট্যাক্সের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ করে। রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। যে কথাটি এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে, ক্রসফায়ার পদ্ধতিতে কি মাদক নির্মূল সম্ভব? এ পদ্ধতিতে মাদক নির্মূল করা কঠিন। এই পদ্ধতি সঠিক বা আইনানুগ কিনা না? আইনে এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অপরাধী যে অপরাধই করুক না কেন, ক্রসফায়ার বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কাউকে মারার কোনো সুযোগ নেই, এটা আইনের সঙ্গে সংগতিপপূর্ণ নয়।
তিনি আরও বলেন, এই অভিযানের ফলে মাদকের বিরুদ্ধে, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দেশে এখন একটা প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে, এর আগে যা হয়নি। মাদকবিরোধী এই অভিযানের সফলতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন.।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি