কালের খবর ডেস্ক :
জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সাধারন সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে’র) পক্ষে আমি সহ যারা কাজ করছি, তারা কেন স্বার্থহীনতার পরিচয় দিয়ে সরাসরি মাঠে কাজ করছি। তার উত্তর আমি দিচ্ছি। কারন- জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সাধারন সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে’র), মাঠে থেকে সাধারন সাংবাদিক ও মানুষের সাথে বুক মিলিয়ে ও হাত মিলিয়ে কথা বলছেন এবং আড়ালে গিয়ে দামী সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করেন না, সাধারন সাংবাদিক ও মানুষের সাথে হাত ও বুক মিলানোকে ঘৃনার দৃষ্টিতে দেখেন না, বরং তার মানুষকে ভক্তি, শ্রদ্ধা করা ও ভালোবাসার দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে সাংবাদিকদের স্বার্থে আন্দোলন, সংগ্রামে, মিটিং, মিছিলে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে, সকালে এসে জাতীয় প্রেসক্লাবে সারাদিন থেকে, সাংবাদিকদের সাথে সময় দেওয়া এবং রাত ১১-১২ টা এমনকি ১টা পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে থাকা, সাংবাদিকদের সুখ, দুঃখের অংশীদার হয়ে কথা বলা। পাশাপাশি বন্ধ ও দখলকৃত কার্যালয় কীভাবে উদ্ধার করা যায়, সে দায়িত্ব কারো মাথায় চাপিয়ে না দিয়ে, কীভাবে কার্যালয় উদ্ধার করা যায়, সে চিন্তা সবসময়, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান মাথায় রেখে, তালা খোলার মতো দুঃসাহসিক উদ্যোগ গ্রহণ করা ও বাস্তবায়ন করে, কার্যালয় পুনঃরুদ্ধার করে, পুনঃরায় বসা ও কাজ করার সুযোগ পাওয়া, যা তার ত্যাগের ফসল।
কার্যালয় পুনঃরুদ্ধারের পর ঝুঁকি নিয়ে কার্যালয় সারারাত জেগে পাহাড়া দেওয়া, যাহাতে দখলদার চক্র আবার দখলে নিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে হামলা-মামলার তোয়াক্কা না করে, কার্যালয় থেকে রাত যাপন করা এবং ব্যানার বিছিয়ে কখনো বসে থানা, আর শুয়ে থাকা, আর চোখ-কান খোলা রাখা। বিতাড়িত দখলদারদের হুমকি-ধমকি, চোখ রাঙানী উপেক্ষা করে, সাংবাদিকদের স্বার্থে সক্রিয় অবদান রাখার লক্ষ্যে, সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখা। দখলদারদের অবৈধ তালা খুলে কার্যালয় পুনঃরুদ্ধার করা, প্রধানের একক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আমি সহ আমরা যারা ঝুকি নিয়ে, প্রধানের উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ২৬ শে মার্চ ২০১৫ইং তারিখে তালা খোলার দায়িত্ব শেষ করে, কার্যালয় প্রবেশ করেছি তারা সহ জাহাঙ্গীর আলম প্রধানকে নূন্যতম মূল্যায়ন করা হয়নি, বিশেষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের পক্ষ থেকে, কিন্তু প্রধান তিনি সেই দুঃসময় সহ সাংবাদিকদের পাশে রয়েছেন, যে বিষয়টি সাংবাদিকদের গভীরে প্রবেশ করেছে, ভালোবাসার মূল্যায়নে, মূল্যায়ন করে।
জাহাঙ্গীর আলম প্রধানকে আরো কি কি কারণে সাধারন সাংবাদিক বেশি ভালোবাসেন। ভাষা শহীদদেরকে শ্রদ্ধা জানানোর লক্ষ্যে, বিএফইউজে-ডিইউজে’র নাম ফুলের তোরায় লিখে, প্রধানের নেতৃত্বে জাতীয় শহীদ মিনারে ফুলের তোরা নিয়ে, রাত ১২ টার পরে যাওয়া এবং ফুলের তোরা দেওয়া শেষে, বাসায় যেতে না পেরে, সারারাত রাস্তায় হেটে-হেটে কাটানোর কষ্টের কথা স্মরণে থাকা। তাকে দেখে সাধারন সাংবাদিক ও মানুষ শরীর কাঁপিয়ে- কাঁপিয়ে বসা থেকে উঠে যেন, সালাম দিয়ে পিছনে হাত রেখে সোজা হয়ে দাড়াতে হয় না এবং এ বিষয়গুলো প্রধান পছন্দ করেন না, এগুলো হচ্ছে সেই ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি সাহেবদের দৃষ্টান্ত। প্রধান সকলকে বলেন, আপনারা আমাকে নেতা বানিয়েছেন, আপনারা আমার ভাই, সুতরাং আমাকে দেখে উঠে সালাম দেওয়ার দরকার নাই, বসে সালাম দিবেন, বসে থাকবেন, স্বাভাবিকভাবে কথা বলবেন, মনে কোন প্রকার জড়তা রাখবেন না। শত্রু পক্ষের সাথে যুদ্ধের সময় নায়ক পাওয়া বড় দায়, শত্রু মুক্ত হলে, মুক্ত মাঠে অনেক নায়ক, মহানায়কের আবির্ভাব হয়। ভাব দেখানোর নায়ক, মহানায়ক সিজনের সময় পাওয়া যায়, সিজন পুড়িয়ে গেলে বসন্তের কোকিল মাঠে না রয়, তারা ফসল খেতে মাঠে এসে সিজনে হাজির হয়, কৃষকের হক কেড়ে নেয়।
যুদ্ধের ময়দানে মাঠে থেকে যে নেতৃত্ব দেয়, মূলত নায়ক, মহানায়ক সে হয়, আর যার যে অবদান থাকে তা মেনে নিতে হয়, যা আলোকিত নেতৃত্বের ভালো গুনাবলির স্বচ্ছ মনের পরিচয়। জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের সার্বিক দিক বিবেচনায় রেখে, সংখ্যা গরিষ্ঠ সাংবাদিকসহ অনেক নেতৃবৃন্দ কার্যালয় ঠিকিয়ে রাখার স্বার্থে, জাহাঙ্গীর আলম প্রধানকে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় এবং ত্যাগের মূল্যায়ন দিতে চায়, যা দয়া, অনুগ্রহ বা করুনার নয়। কর্মের প্রাপ্য মূল্যায়ন মানুষকে মানুষের দিতে হয়।
বিশেষ আরো একটি বিষয়ঃ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে’র) গুরুত্বপূর্ণ মূল মূল কাগজাদির বিশেষ-বিশেষ অংশ, যা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে’র) ও সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কাগজ ভর্তি ব্যাগ নিয়ে, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কঠিন সময় বিএমএ ভবনের সামনে থেকে অত্যন্ত আতংকিত মনে চলাফেরা করছিলেন।
আমাকে পেয়ে তিনি বলেন ভাই আমার জীবনের এবং আপনার জীবনের চেয়েও মূল্যবান সম্পদ এ ব্যাগের ভিতরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কাগজাদি রয়েছে এবং তিনি বলেন, আমার পিছনে ৩/৪ জন লোক লেগে আছে। আমি তার কথা শুনে ব্যাগ হাতে নিয়ে, আমি রিক্সায় করে, সোজা বায়তুল মোকাররমে গিয়ে, নিরাপদে ব্যাগ রেখে, আবার নিরাপদে বিএমএ ভবনের সামনে চলে এলাম এবং প্রধানকে তার সুবিধা মোতাবেক স্থানে পৌঁছে দিয়ে ফিরে এলাম। মনে হচ্ছিল কোন গর্ভধারিনী মায়ের পেটে সন্তান নিয়ে যেই প্রকারের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়, উক্ত কাগজ নিরাপদে না রাখা পর্যন্ত সে রকম যন্ত্রণা প্রধান এবং আমিও সে রকম যন্ত্রণা অনুভব করছিলাম। কোন মানুষের মনে চায় না, কোন মানুষের সাথে সম্পর্ক খারাপ হোক, কিন্তু কিছু-কিছু মানুষ গায়ে পরে, সর্ম্পক খারাপ করতে চায় অথবা ঝগড়া-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে চায়, যা আসলে ঠিক নয়। মানুষ ভুল বুঝিয়ে মানুষকে মানুষের কাছ থেকে সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে, সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে, যা স্থায়ী থাকেনা, যেহেতু কেউ-কেউ ভুলকে শুদ্ধ করে নেয় এবং সম্পর্ক গড়ে নেয়, এগুলো খারাপ কোন বিষয় নয়। আমি তো আউলিয়া-দরবেশ নই এবং পীর-ফকির নই, আমি পাপীদের কাতারভূক্ত একজন মানুষ। তাই চেষ্টা করেছি সকল নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা।
প্রধানের পক্ষে আমিসহ অনেকেই সরাসরি ঘোষণা দিয়ে মাঠে কাজ করছি, এতে কেউ-কেউ আমার প্রতি খুব নাখোশ, কিন্তু এতে আমার কিছু করনীয় নেই। আমরা প্রধানের ত্যাগ ও অবদানকে মূল্যায়ন করে তার পাশে আছি এবং নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে’র) সদস্য হওয়ার পরে অনেক নেতাদের অনেক বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি, কে কতটুকু হাজী সাহেব, পীর সাহেব, দরবেশ, ফকির এগুলো আমাদের জানা আছে এবং জানা আছে অনেকের অনেক কিছু। রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে যারা নেতৃত্বের আসন স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে চায় এবং নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে চায় না, আমার হিসেবে তাদের এ চিন্তা ঠিক নয়। নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে, যারা প্রবীন নেতৃবৃন্দের ত্যাগ ও অবদানকে আগামীতে তুলে ধরবে, তা না হলে তাদের ত্যাগ ও অবদান কে তুলে ধরবে? সবাই যে একজনের নীতি আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে, তার পিছনেই কাজ করবে, এমন কথা নয়, একজন অপজনকে ভালো লাগতে পারে এবং তার পক্ষে কাজ করতেই পারে, যা যার-যার মনের বিষয়, যা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের বাহিরে নয়।
রাজনৈতিক অঙ্গনে আগুন জ্বলে কেন? কবরে যাওয়ার সময়-সমমনা মানুষ নিয়ে সব পদ-পদবী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে চায়, সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে চায়, বাড়ি-গাড়ি, টাকা অর্জন আর নারী ধর্ষণ করতে চায়, ভালো মেয়েদেরকে নেতার সীল মেরে, গালা গালিয়ে কলংকিত করে, বিপদগামী পথে নামায়, নেতৃত্ব সৃষ্টিতে বাধা হয়ে দাড়ায়, মানুষের ত্যাগ ও অবদান অস্বীকার করে কতিপয় মিলে, মোর্চা গঠন করে, থাকতে চায়, মানুষ কতকাল থাকতে চায়, বোকার জামানায়, নেতারা খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে চালাক বানায়, অন্ধ চোখ খুলে দেয়, যা ভালো বিষয়। কতিপয় নেতায় রাজনৈতিক অঙ্গনে এভাবেই আগুন জ্বালিয়ে দেয়, মাঝখানে সাধারন মানুষ পুড়ে ছাই হয়। তাই আমি নীতি ও আদর্শবান নেতৃবৃন্দ সহ সকল সাংবাদিকদের সু-বিবেচনায় বিষয়গুলি রেখে, জাহাঙ্গীর আলম প্রধানকে, সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে’র) হিসেবে নির্বাচিত করে, তার ত্যাগ ও অবদানের মূল্যায়ন করে, সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায়, আরো অবদান রাখার সুযোগ দেওয়া ও নেতাদের পাশে থেকে, তাদের হাতকে আরো শক্তিশালী করে, সাংবাদিকদের স্বার্থ উদ্ধাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য, উপরোক্ত বিষয়াদি বিবেকের আলোকে বিবেচনা করার উদ্দেশ্যে সকলের কাছে অনুরোধ থাকলো। কার্যালয় প্রবেশের পরের ছবি (২৬ মার্চ ২০১৫)।
. মোঃ মতিউর রহমান সরদার, কালের খবর /৩/৪/১৮
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি