কালের খবর প্রতিবেদক :উদঘাটিত হলো রাজধানীর শাখাঁরীবাজার হলি উৎসবে প্রাণ যাওয়া কলেজছাত্র রওনক হত্যার রহস্য। পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এলো এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে ত্রিভূজ প্রেমের কাহিনী।
মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে লালবাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান এমন তথ্য জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- রিয়াজ আলম ওরফে ফারহান, মোঃ ফাহিম আহম্মেদ ওরফে আব্রো, মোঃ ইয়াসিন আলী, মোঃ আল আমিন ওরফে ফারাবী খাঁন ও মোসাঃ লিজা আক্তার ওরফে মাইসা আলম। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
রওনক হত্যা রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে ইব্রাহীম খান বলেন, মাইশা নামের এক মেয়ের সঙ্গে রওনকের সম্পর্ক ছিল। রওনক ওই সম্পর্ক ছিন্ন করে তুহু নামক এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। তুহুকে অপর এক ছেলেও পছন্দ করত। এ বিষয় নিয়ে ভিকটিম রওনকের সঙ্গে ওই ছেলের কথা কাটাকাটি ও উত্যপ্ত বাক্য বিনিময়সহ ঘটনার সূত্রপাত হয়। ওই ছেলে রওনকের ওপর প্রতিশোধ নিতে হলি উৎসবকে বেছে নেয়। রওনককে হলি উৎসবে আনার জন্য মাইশাকে ব্যবহার করে ওই ছেলে।
তিনি জানান, ১ মার্চ ওই ছেলে তার বন্ধুদের একটি গ্রুপ নিয়ে ঘটনার ৩০-৪০ মিনিট পূর্বে লক্ষীবাজার কেএফসির সামনে একত্রিত হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩-৪টি ছুরি সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে রওনক তার ৭-৮ জন বন্ধুসহ শনি মন্দিরের সামনে আসলে পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘাতকরা রওনককে একপাশে ডেকে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে রওনকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এ সময় ১০-১৫ জন রওনককে এলোপাথারি চরথাপ্পর মারতে থাকে। এদের মধ্যে কয়েকজন ছেলে ছুরি দিয়ে উপুর্যুপুরি আঘাত করে। পরবর্তী সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় রওনক মারা যায়।
ডিসি লালবাগ আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি