এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :
ডেমরার ডগাইর রোডে সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুদের যোগসাজশে গত ৩ ডিসেম্বর শিমরাইল সওজের অর্থ লোভী কর্তা ব্যক্তিরা অবৈধ ভাবে ৫ লাখ টাকার মালামালসহ বিসমিল্লাহ নামে এক রেস্টুরেন্ট গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এসময় উপস্থিত রেস্টুরেন্টের মালিক ফারুক ও তার প্রতিনিধি আঁখি নুর চৌধুরী ও সারবেয়ার মো. মনির হোসেন এঘটনার প্রতিবাদ করে। এবং তারা উক্ত জায়গাটির মালিকানধীন কাগজ-পত্র দেখানোর পরও জোরপূর্বক বুলডোজার দিয়ে দোকান গুড়িয়ে ফেলে। কিন্তুু কিসের ভিত্তিতে মালিকানা জায়গার দোকান ভাঙ্গা হচ্ছে, জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর দেয়নি এবং তাদের পক্ষের কোনো কাগজ পত্র ও দেখাতে পারেনি। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তারা দোকার ঘরটি গুড়িয়ে দিয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে যায়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ডেমরার ডগাইর রোডের পাশে আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনের ক্রয় করা জায়গায় গড়ে উঠা, দোকান ও গবাদিপশুর খাবারের উপর কু-নজর পড়ে একটি ভুমিদস্যু কুচক্রী মহলের। উক্ত কুচক্রী মহলটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নানান কোট কৌশল করে জায়গার ওপর নির্মিত দোকান ও গরুর খামারটি জবর দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো ভাবেই উক্ত জায়গাটি দখলে নিতে না পেড়ে, নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। গরুর খামার ও বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্টের জায়গাটি সওজের রাস্তার পাশে থাকায় ভুমিদস্যুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের বুঝিয়েছে যে, এটি সওজের জায়গা। ভুমি দস্যুদের কথা মতো অর্থ লোভী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গবাদিপশুর খামার ও দোকান ভেঙ্গে তারা দখলে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
এবিষয়ে রেস্টুরেন্টের মালিক ফারুক বলেন, এই জায়গা উপর আদালতে মামলা রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৪জনের নামে জায়গার মালিক ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেছে। তিনি আরো বলেন, মামলা এখনো চলমান, তার পরও জোর করে আমার এত টাকার মালামালসহ রেস্টুরেন্টটি ভেঙ্গে দিলো আমি এর সুবিচার চাই। এবিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তার বক্তব্য নেয়ার জন্য কর্মকর্তার সাথে বার বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি