।। গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন, কালের খবর ।।
স্বৈরাচারী হাসিনার সরকার দেশে গত ১৫ বৎসরে সবচেয়ে বেশি দুর্নীত হয়েছে এই জ্বালানি সেক্টরে। তাই এখন প্রয়োজন জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উপায় , যা দীর্ঘমেয়াদী টেকসই এবং কার্যকর করার উপায় অনুসন্ধান করা। নিচে কিছু কৌশল ও উপায় নিয়ে সুপারিশ করা হলো :
১. নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের ব্যবহার বৃদ্ধি
* সৌর শক্তি: সূর্যের আলো থেকে শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে সৌর প্যানেলগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী খরচ কমাবে এবং পরিবেশবান্ধব।
* বায়ু শক্তি : বায়ু বিদ্যুৎ টারবাইন ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি ভালো বিকল্প হতে পারে, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় যেখানে বায়ু প্রবাহ বেশি থাকে।
* জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবর্তে জৈব জ্বালানি: যেমন বায়োগ্যাস বা বায়োমাসের মাধ্যমে জ্বালানি উৎপাদন করা যেতে পারে যা পরিবেশ বান্ধব এবং সহজলভ্য।
২. জ্বালানির অপচয় কমানো:
* কৌশলগত ব্যবস্থাপনা: কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি দক্ষতার দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং অপ্রয়োজনীয় জ্বালানির ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয় করা যেতে পারে।
* নতুন প্রযুক্তি: উন্নত প্রযুক্তি এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সংরক্ষণে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব।
৩. নতুন নতুন জ্বালানি উৎসের সন্ধান
* পরমাণু শক্তি: যদিও এটি বিতর্কিত, তবে সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে পরমাণু শক্তি থেকে প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি পাওয়া সম্ভব।
* সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা ও তরঙ্গ শক্তি: সমুদ্রের ঢেউ এবং জোয়ার-ভাটা থেকেও শক্তি উৎপাদন সম্ভব, যা বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে কার্যকর হতে পারে।
* ভূ-তাপীয় শক্তি: ভূ-গর্ভস্থ তাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব, যা বিশ্বের অনেক দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে।
৪. গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ:
* গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। এর মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি আবিষ্কার করে জ্বালানি উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
৫. জনসচেতনতা বৃদ্ধি
জনগণকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং অপ্রয়োজনীয় জ্বালানি অপচয় রোধে সচেতন করা প্রয়োজন।
৬. সরকারি নীতি ও সহায়তা:
* নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কর ছাড় ও প্রণোদনা প্রদান করে এর ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়া, জ্বালানি দক্ষতার জন্য আইন প্রণয়ন ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত করতে কার্যকরী সরকারি পদক্ষেপ সহায়ক হতে পারে।
উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে, জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে আশা করা যায়।
আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে এবং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবে।।
লেখক :-
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।
ইমেইল :- gmfaruk29@yahoo.com
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি