কালের খবর ডেস্ক :
ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বর্তমানে সিআইডির ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম। রাজধানীসহ সারাদেশে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ।
বিগত স্বৈরাচারি সরকারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফ্ল্যাট দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এসব ব্যাপারে ইতিমধ্যে পুলিশ প্রধান ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মালিবাগের ফরচুন টাওয়ারের বাসিন্দারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শরিফুলের নামে রাজধানীর মালিবাগের ফরচুন টাওয়ারে রয়েছে দুইটি ফ্ল্যাট, যার আনুমানিক মুল্য দেড় কোটি টাকা। একই বিল্ডিংয়ের ৩য় ও চতুর্থ তলায় রয়েছে ২টি দোকান, যার আনুমানিক মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা।
মৌচার মার্কেটে ২ টি দোকান, ধানমন্ডিতে ২২শ স্কয়ার ফিটের বিলামবহুল ফ্ল্যাট গুলশানর ৫ কাঠার প্লট, ৮-৯ কোটি টাকার এফডিআর, পূর্বচলে জলপিঁড়িতে প্লট রয়েছে তার নামে। এছাড়া স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনের নামে বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
পতিত স্বৈরাচারের অনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব তিনি অবৈধভাবে উপার্জনে করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ফরচুন টাওয়ারে কর্মরত স্টাফ ও বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগও রয়েছে এই বিরোধী মত দমনকারী হাসিনা সরকারের দোসর শরিফুলের বিরুদ্ধে।
এছাড়া রাজধানী কাকরাইল, সাতক্ষীরা ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে লাজফার্মার আনুমানিক ১২টি শাখা রয়েছে তার নামে। একটি পেট্রোল পাম্পও রয়েছে সিআইডির এ ইন্সপেক্টরের নামে।
গত হাসিনা সরকারের শেষ দিকে খুলনা থেকে এসে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ হামলা করে পুলিশের বেশ কয়েকটি পুরস্কার পান। আহত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ হসপিটালে ভর্তিও ছিলেন ডেসপারেট এই পুলিশ কর্তা।
এ ব্যাপারে শরিফুল ইসলামের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে চাইলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের পতনের পর এই অসাধু কর্মকর্তা গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি