যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর :
কেশবপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন বিলে মাছের ঘের-ভেড়িতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। বিলের ভিতরে চারদিকে শুধু সবুজের সমারোহ। আগাম শীতকালীন সবজি শিম গাছে ফুল ধরেছে সেই সাথে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
কেশবপুর উপজেলা মৎস্য অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ছোট বড় মাছের ঘের রয়েছে ৪ হাজার ৬৫৮ টি। ঘেরের ভিতর জমির পরিমাণ হলো সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর। মৎস্য চাষিরা ঘেরে শুধু মাছের চাষ করেনি। সেই সাথে ঘেরের ভেড়ির উপরে বিভিন্ন প্রকার সবজি শিম, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, পুঁইশাক ও লাল শাকের চাষ করেছে। বিলের ভিতরে এমন কোনো মাছের ঘের নেই যে ভেড়ির উপরে শীতকালীন সবজির চাষ করা হয়নি।
সরেজমিনে উপজেলার পাঁজিয়া, সুফলাকাঠি ও গৌরিঘোনা ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে শুধু মাছের ঘের আর ঘের। মাছের ঘেরে ভেড়ি তৈরি করে তাতে কৃষক দ্বৈত চাষে সফলতা পেয়েছে। কৃষকরা মাছের ঘেরে বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছের চাষ করেছে এবং ভেড়ির উপরে মাচা তৈরি করে শীতকালীন আগাম সবজির চাষ করেছে। শিম গাছে সবেমাত্র ফুল ধরেছে। খুব অল্পদিনে তিনি উৎপাদিত শিম বাজার চড়া মূল্যে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লাভের আশা করছেন।
কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন, একসময় কৃষক তাদের মাছের ঘেরে শুধু মাছের চাষ করতো। আর ঘেরের ভেড়ি খালি পড়ে থাকতো। কৃষকদের ঘেরে মাছ ও ভেড়ির উপরে শীতকালীন সবজি দ্বৈত চাষের পরামর্শ দিয়ে শীতকালীন সবজি চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। আর কৃষক সবজি চাষে সফলতা পেয়ে খুব আনন্দিত হয়েছে ।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি