আসাদুজ্জামান বাবুল / শেখ সাইফুল বাবুল, গোপালগঞ্জ থেকে, কালের খবর :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতের ছোয়ায় বদলে গেছে গোপালগঞ্জের চালচিত্র। এক সময়কার অবহেলিত জনপদ গোপালগঞ্জ গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া, মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও জেলা সদরসহ ৫টি উপজেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ও গ্রামীন অবকাঠামোসহ নানাবিধও ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার। এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। চলমান আছে অসংখ্য প্রকল্পের কাজ। যার সুবিধা ভোগ করছেন এ জেলা-শহর ও গ্রামগঞ্জের লাখ লাখ মানুষ।
তবে, কেউ কেউ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুনীতি, স্বজনপ্রীতি,পক্ষপাতিত্ব ও কাজের নামে অথ আত্বসাত ছাড়াও নানাবিধও বিস্তর অভিযোগও তুলেছে।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কমকতারা বলছেন, ভাল কাজ করতে গেলে অভিযোগ থাকবে এটাই স্বাভাবিক, তারপরেওতো দেশের মঙ্গলের জন্য উন্নয়নমুলক কাজ করে যেতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান থাকায় অন্যান্য জেলার মতো গোপালগঞ্জের গ্রাম ও শহরের মানুষও সুবিধা পাচ্ছেন বলেও মনে করেন তারা।
বিভিন্ন অধিদপ্তরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, সড়ক, পানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এসেছে।
গোপালগঞ্জে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত অফিসগুলোর দায়িত্বশীল সুত্র আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলছেন, শতাধিক বড় প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে এ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এক সময়কার অবহেলিত জনপদ গোপালগঞ্জের মানুষ একটা সময় কলার ভেলা ও নৌকায় চড়ে এক বাড়ী হতে আরেক বাড়ী যাওয়া আসা করতেন। আজ সেই সব এলাকায় কাপেটিং রাস্তা- ব্রিজ-কালভাট হয়েছে। এক সময় এ অঞ্চলের মানুষ হারিকেন ও কুপি জ্বালিয়ে খাবার খাইতো আজ সেই সব এলাকায় ঘরে ঘরে বিদ্যুতের বাতি জ্বলে। এসব কাজে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতের ছোয়ায় গত ১৪ বছরে এ সব উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় সরকার: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক বলেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জেলার কোটালীপাড়া- টুঙ্গিপাড়া-মুকসুদপুর- কাশিয়ানী ও সদর উপজেলাসহ ৫টি উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ হাজার ৩৩০ মিটার, সেতু- কালভার্ট তৈরী করা হয়েছে। হাটবাজার উন্নয়ন করা হয়েছে ৩৫টিরমতো। চলমান রয়েছে ৩০ থেকে ৩৫টি প্রকল্পের কাজ।
সড়ক ও যোগাযোগ : গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন বলেন, আমার আড়াই বছরের মেয়াদকালে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন কাজ করেছি। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকেরহাট থেকে ঘোনাপাড়া পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করার কাজ চলমান রয়েছে। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি জেলা উন্নয়ন সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া সড়ক বিভাগ ৯৫৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর মধুমতী নদীর ওপর দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু নির্মাণ করেছে। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এই মধুমতী সেতু। চলতি অর্থবছরে টেকেরহাট থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ চলমান। এ ছাড়া সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে বহু সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী-গোপালগঞ্জে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাত : জেলার কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কাশিয়ানীতে আইএইচটি (ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি) নির্মাণ, কাশিয়ানীর রামদিয়ায় ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া শেখ ফজিলাতুনেচ্ছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১৮৬ কোটি টাকা। ঘোনাপাড়ায় এসেনসিয়াল ড্রাগস কম্পানি লিমিটেডের কারখানায় পেনিসিলিন উত্পাদন করা হচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান।
গভীর নলকুপ পানি ব্যবস্থাপনা : জেলার বিভিন্ন গ্রামে দুই হাজার ৩৭০টি গভীর নলকূপ, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় ৩৬০ ঘনমিটার ওভারহেড ট্যাংক, ১৬ কিলোমিটার পাইপলাইন, ছয় কিলোমিটার ড্রেন এবং চারটি পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।
ধর্মীয় খাত : গোপালগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স স্থাপন, টুঙ্গিপাড়ায় মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, জেলা শহরসহ পাঁচটি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
শিক্ষা খাত :শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শিশু একাডেমি নির্মাণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, স্কুল, কলেজ ভবনের উন্নয়ন করা হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা : বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) সমন্বিত দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, পল্লী প্রগতি কর্মসূচি, আদর্শ গ্রাম কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান। এ ছাড়া জেলার পাঁচটি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় দুই বছর মেয়াদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়।
স্বাস্থ্য খাত: জেলার কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কাশিয়ানীতে আইএইচটি (ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি) নির্মাণ, কাশিয়ানীর রামদিয়ায় ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া শেখ ফজিলাতুনেচ্ছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১৮৬ কোটি টাকা। ঘোনাপাড়ায় এসেনসিয়াল ড্রাগস কম্পানি লিমিটেডের কারখানায় পেনিসিলিন উৎপাদন করা হচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান।
পানি ব্যবস্থাপনা: জেলার বিভিন্ন গ্রামে দুই হাজার ৩৭০টি গভীর নলকূপ, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় ৩৬০ ঘনমিটার ওভারহেড ট্যাংক, ১৬ কিলোমিটার পাইপলাইন, ছয় কিলোমিটার ড্রেন এবং চারটি পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।
ধর্মীয় খাত: গোপালগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স স্থাপন, টুঙ্গিপাড়ায় মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, জেলা শহরসহ পাঁচটি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
শিক্ষা খাত: শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শিশু একাডেমি নির্মাণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, স্কুল, কলেজ ভবনের উন্নয়ন করা হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা: বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) সমন্বিত দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, পল্লী প্রগতি কর্মসূচি, আদর্শ গ্রাম কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান। এ ছাড়া জেলার পাঁচটি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় দুই বছর মেয়াদি কর্মসংস্থান।
সাধারন মানুষের অভিমত: গোপালগঞ্জের লতিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাফর হোসেন কালু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শৈখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছিলো বলেই আজ গোপালগঞ্জের চালচিত্র বদলে গেছে। আমরা মনে করি আওয়ামীলীগ সরকার গোপালগঞ্জের জন্য আশীর্বাদ। গোবরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চৌধুরী শফিকুর রহমান টুটুল বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে গোপালগঞ্জের উন্নয়ন হয়। আর অন্য সরকার ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নের বদলে আমাদের উপর স্টীম রোলার চালায়।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি