আবেদ হোসাইন, যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর : যশোরে মনিরামপুর উপজেলার একটি গ্রাম বাসুদেবপুর। এই গ্রামের ঘরে ঘরেই নার্সারি। ছোট বড় প্রায় চারশ’ নার্সারিতে এমন কোনো চারা নেই যা পাওয়া যায়না। বছর জুড়ে সারাদেশে ট্রাক ভর্তি করে চারা সরবরাহ করেন নার্সারি মালিকরা। এতে একদিকে যেমন গ্রামজুড়ে সবাই স্বাবলম্বী হয়েছেন; তেমনি এই বিপুল পরিমাণ চারা উৎপাদন করে ভূমিকা রাখছেন পরিবেশ রক্ষায়।
যশোর শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণে মণিরামপুর অবস্থিত বাসুদেবপুর গ্রামটিতে প্রায় ৫শ’ পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে চারশ’ বাড়িতেই আছে নার্সারি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক নার্সারি শতাধিক। আর বাসুদেবপুর বাজারে শতাধিক ছোট বড় চারা বিক্রির দোকান রয়েছে। এখন গ্রামের চারভাগের তিনভাগ বাসিন্দাই নার্সারির সঙ্গে জড়িত। গ্রামের যেদিকেই চোখ যায় শুধুই নার্সারি আর গাছের চারা। আম, কাঁঠাল, পেয়ারা থেকে শুরু করে দেশি সবধরণের ফল ও ভেষজ গাছের চারা রয়েছে এই নার্সারিগুলোতে।
বাসুদেবপুরে নার্সারির গোড়াপত্তন করেন মোহাম্মদ আলী (৭২)। মণিরামপুর উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় তিনি ‘নার্সারির গুরু’ হিসেবেই পরিচিত। বাজারের পাশে ‘পুরাতন নার্সারি’ নামে তার প্রতিষ্ঠানটি এখন ছেলেরা দেখাশোনা করেন।
আকাশ নার্সারির স্বত্বাধিকারী শাহজাহান কবীর জানান, বাবার হাত থেকে ১৮ বছর আগে তিনি নার্সারির কাজে হাত দেন।
নার্সারি শ্রমিকের কাজ করা ভোলানাথ সরকার ও শহিদুল ইসলাম মনু জানান, গ্রামের ঘরে ঘরে নার্সারি হওয়ার পর এখন আর কাজের অভাব হয় না।
মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকা বলেন, রোহিতা ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘরেই নার্সারি। তারা অনেক ধরণের গাছের চারা উৎপাদন এবং বছর জুড়ে সারাদেশে সরবরাহ করে থাকেন। বিশেষ করে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী তারা বিভিন্ন জাতের চারা তৈরি করে সরবরাহ করেন।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি