শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিপুলপরিমাণ ভারতীয় আতশবাঁজিসহ এক চোরাকারবারি গ্রেপ্তার।। কালের খবর দুবাইয়ে আরাভ খান একা নন, আছেন আরও অনেক বাংলাদেশি। কালের খবর চট্রগ্রাম সিএমপি’র ট্রাফিক উত্তর বিভাগের নিরাপদ সড়ক ব্যবহার ও সচেতনতা কর্মশালার আয়োজন। কালের খবর বাঙ্গরায় ৫৬ কেজি গাঁজা ও ৭টি রামদাসহ সাতজন গ্রেফতার। কালের খবর দেশ ও প্রবাসের সকলকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংবাদিক মোঃ শহিদুল ইসলাম। কালের খবর সরকার শিক্ষার উন্নয়নে দেশ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বোয়ালমারীতে আরিফুর রহমান দোলন। কালের খবর যশোরেরব বসুন্দিয়ায় পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে ইমাম- মুসল্লীদের শোভাযাত্রা। কালের খবর সুন্দরগঞ্জে চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেল ৫০০ পরিবার। কালের খবর শাহজাদপুরে ১৫ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জমি ও গৃহ হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন। কালের খবর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা। কালের খবর
সুন্দরগঞ্জে চাকরিচ্যুত শফিউলের চাকরি ফিরে পাবার আকুতি। কালের খবর

সুন্দরগঞ্জে চাকরিচ্যুত শফিউলের চাকরি ফিরে পাবার আকুতি। কালের খবর

শহীদুল ইসলাম শহী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি, কালের খবর : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর গ্রামের শফিউল আলম দীর্ঘ ১৮ বছর আগে হারানো চাকরি ফিরে পেতে আকুতি করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঁজিয়ে চাকরিচ্যুত হন ২০০৪ সালে। তখন থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দৈন্যতায় দিন কাটাচ্ছেন।
জানা যায়, ২০০৪ইং সালের নভেম্বর মাসে রাঙ্গামাটি জেলার শিলছড়ি কাপ্তাই সদর দপ্তরে ২৪ আনসার ব্যাটালিয়নে কর্মরত অবস্থায় ব্যারাকে একাকীত্ব সময় কাটাতে টেপ-রেকর্ডারে ধারণকৃত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্ঠে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঁজাতে দেখে তৎকালীণ সংশ্লিষ্ট অধিনায়ক হীরা মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে শফিউল আলমকে বরখাস্ত করেন। তখন থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন সুফল পাননি তিনি। এরপর ২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর আনসার ব্যাটালিয়নের মহা-পরিচালক বরাবরে চাকরি ফিরে পেতে আপীল করাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন তিনি। দীর্ঘ ১৮ বছর অতিক্রান্ত হলেও চাকরি ফিরে না পেয়ে মা ছকিনা বেগম, স্ত্রী জাহানারা বেগম, ছেলে জয়নুল আবেদীন জনী, মেয়ে রিক্তা আক্তার শেলী ও ছেলের স্ত্রী জেমু আক্তার, নাতী জুবায়েদ আহম্মেদ জুহিসহ পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে অভাব-অনাটনে অতি কষ্টে দিনানি

পাত করছেন শফিউল আলম। উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম ও ছকিনা বেগম দম্পত্তির ছেলে শফিউল আলম বর্তমানে তারাপুর ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি ও তাঁর ছেলে জনী সুন্দরগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এরআগে শফিউল আলম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনে কৃতিত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মামা মরহুম এ্যাডভোকেট মোসলেম আলী মিয়া ১৯৭৯- ৯৭ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। এ‍্যাডভোকেট মোসলেম আলী মিয়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে ১৯৯৬ ইং সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তৎকালীণ বর্ষিয়ান এ রাজনীতিকের পরিবারের সদস্য হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ-ই তাঁর স্বজনদের রাজনৈতিক ঠিকানা বলে মন্তব্য করেন চাকরিচ্যুত শফিউল আলম।
সরেজমিনে শফিউল আলম এর বাসায় গেলে তিনি আরও জানান, তিনি শারিরীক ও মানসিকভাবে কর্মপালনে সক্ষম। পারিবারিকভাবে আওয়ামীপন্থী হওয়ায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্ঠে টেপ রেকর্ডারে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে ভালবাসতেন। পক্ষান্তরে ২০০৪ সালে উক্ত ২৪ আনসার ব্যাটালিয়নে ব্যারাক অধিনায়ক হিরা মিয়া ছিলেন তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকারপন্থী। তাই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শফিউল আলমকে চাকরিচ্যুত করেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com