শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
যশোরের বাঘারপাড়ায় কুমড়ো বড়ি তৈরি করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরাচ্ছে অনেক পরিবার। কালের খবর

যশোরের বাঘারপাড়ায় কুমড়ো বড়ি তৈরি করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরাচ্ছে অনেক পরিবার। কালের খবর

সাঈদ ইবনে হানিফ ] বাঘারপাড়া, কালের খবর :
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার প্রত্যাম্ত গ্রামাঞ্চলের নারীরা এখন মেতেছে কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে। অনেকে সংসারের চাহিদা মিটিয়ে এই বড়ি বাজারে ও বিক্রি করছেন। এতে তাদের সংসারে কিছু টা বাড়তি আয়ও হচ্ছে। সম্প্রতি গ্রামের পাড়া মহল্লায় ঘুরে দেখা গেছে –
দেখতে সুন্দর “খেতে মজা” তার চেয়ে বেশি সুস্বাদু এই কুমড়ো বড়ি সারি সারি সাজিয়ে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। শীতের খাবারে মুখরোচক স্বাদ আনতে মাছের বদলে সবজিতে কুমড়া বড়ির প্রচলন দীর্ঘ দিনের।তাই শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে অতিযত্ন সহকারে এই খাদ্যপণ্যটি তৈরি করে থাকেন বাঘারপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের নারীরা। এদিকে কুমড়া বড়ি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করেও ইতোমধ্যে অনেকে অস্বচ্ছল পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছরের শীত মৌসুমে বাজারে নানা ধরনের সবজির সমাহার দেখা যায়। এই সবজি আর মাছ রান্নাতে ভোজন রসিক খাবারে ব্যবহার করা হয় ঐতিহ্যবাহী কুমড়া বড়ি। কুমড়া বড়ির কারিগররা জানান, দেশিয় উপাদানে তৈরি করা হয় কুমড়ার বড়ি। প্রথমে গাছপাকা সাদা বর্ণের চালকুমড়া কুচি কুচি করে কাটতে হয়। তারপরে কলাইয়ের ডাল ভিজিয়ে পাটায় বেটে নিতে হয়। পরে চালকুমড়া আর কলাইয়ের ডাল একসঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে ভালো করে মাখিয়ে বাঁশের চাটাইয়ের ওপরে ছোট ছোট করে বড়ি তৈরি করে বিছিয়ে দিতে হয়। দুই-তিন দিন ভালো করে রোদে শুকালেই খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে কুমড়ার বড়ি। বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মসুর ডাল (চিকন) এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, যা ৫ মাস আগে ছিল ১১০ টাকা। মসুর ডাল (মোটা) এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। যা আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। মাষকলাই ডাল এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়, যা আগে ছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। অ্যাংকার ডাল এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। মুগের ডাল এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। একটি কুমড়ো ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। বাঘারপাড়া উপজেলার পাইকপাড়ার সুমি বিশ্বাস, বাসুয়াড়ীর রেকছোনা বেগম, মাহমুদপুরের তাছলিমা সহ অনেকে বলেন, বড়ি তৈরি করতে প্রথমে প্রচুর পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু এখন মেশিনের মাধ্যমে ডাল গুঁড়ো করা হচ্ছে, শুধু হাতের মাধ্যমে বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে হয়। যে কারণে পরিশ্রম অনেকটাই কমেছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com