যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর:
বিগত বছর যশোরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার আসামিদের সিংহভাগ সরকারি চাকুরে। মোট ২২টি মামলার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে মাত্র ৮টির; যার মধ্যে ৭ মামলায় অভিযুক্তদের সাজা হয়েছে।
যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক বলেন, ২০২২ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা এসব মামলায় ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সূত্র জানায় , গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যশোর সদরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
চাকরিতে দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ রয়েছে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসেম খানের বিরুদ্ধে। এসব সম্পদের খোঁজ পেয়ে গত বছর দুদক আবুল হাসেম খান ও তাঁর স্ত্রী মাহফিজা বেগম চম্পার নামে মামলা করে।
ওসি হাসেম ও তাঁর স্ত্রীর যৌথ নামে যশোর শহরের বারান্দি মৌজায় ২৭ শতক জমির ওপর চারতলা বাড়ি ও একটি নির্মাণাধীন বাড়ি রয়েছে।
কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। যশোর দুদকের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত ১৯ মে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ৩ দশমিক ৬ টন চাল বিক্রি করে যার মূল্য ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫৩ টাকা।
এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনাপোলে কাস্টম কর্মকর্তা দেবাশীষ কুন্ডু ও তাঁর স্ত্রী লতিকা কুন্ডুকে আসামি করেও মামলা করে দুদক।
যশোর দুদকের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, ‘অভিযোগ পেলেই আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। পরে আদালত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনছেন।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি