মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রথিনিধি, কালের খবর : শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাঠে আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে জমি চাষ, বীজতলা থেকে বীজ উঠানোর মাধ্যমে বোরো ধান রোপন শুরু করছেন।
তবে জমি মালিকরা জানিয়েছেন, প্রতিবিঘা জমিতে ইরি ধান রোপন করতে জন প্রতি শ্রমিককে মজুরী হিসেবে দিতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ শত টাকা।
তাছাড়া প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, সার, চাষ, রোপন করাসহ কৃষকের খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা । তাছাড়া পানি সেচের জন্য আলাদা খরচ তো রয়েছেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ধানের দাম কম, উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় দিনদিন ইরি-বোরো ধানের আবাদ কমে আসছে। বোরো ধানের পরিবর্তে কৃষক অন্যান্য ফসলের দিকে ঝুকে পরছেন। সরিষাসহ রবিশস্য ছাড়া বাকি জমিতে চলছে আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান রোপনের কাজ।
চলতি বছরে তাড়াশ উপজেলায় বোরো ধানের আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে।
ধান রোপনের কাজে নিয়োজিত মহেশরৌহালী গ্রামের রেজাউল ও রব্বান মোল্লা জানান, এখন কাজ কম। আমাদের কোন জমি নেই। খাস জায়গায় বসবাস করি। সারা বছরই কাজ করে থাকি চলন বিলের মাঠে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুন আর রশিদ জানান, তাড়াশ উপজেলায় এবার আগাম জাতের বোরো ধানের আবাদ তুলনামুলক ভাবে কম। সরিষা ঘরে তোলার পর পুরোদমে শুরু হবে বোরো ধান রোপনের কাজ। চলতি বছরে তাড়াশ উপজেলায় ২২হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে আগাম জাতের বোরো ধান রোপন করছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি