মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর ঃ চলছে অগ্রহায়ণ, মাঠভরা আমন ধানের যৌবনিকা টানতে না টানতেই আসন্ন সংকটের কথা মাথায় রেখে সরিষা বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ধানের পাশাপাশি সরিষা থেকে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়া যায় বলে অধিকাংশ জমিতে সরিষার চাষ করা হয়। কেউ কেউ আমন ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত। কেউবা ধান কেটে বাড়ি আনার প্রতিক্ষায় মাঠেই রয়েছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ, মাগুরা,তাড়াশ, বারুহাস,বিভিন্ন ইউনিয়ন সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আমন ধান কাটা ও পানি যাওয়ার সাথে সাথে সরিষার বীজ বপন করেছন অনেকেই। তবে কোথাও কোথাও সরিষার বীজ বপনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জমিগুলো, কোথাও আবার সরিষার চারা ৫-১০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে নতুন ধান ঘরে তুলেই অনেক এলাকায় ঘরোয়া পরিবেশে করা হচ্ছে নবান্নের উৎসব। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে সুবাসিত পুরো এলাকা। ধানের দাম একটু বেশি থাকায় কৃষকের মুখে সোনালী ফসলের অকৃত্রিম হাসি বিরাজমান।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চাষী তোফায়েল ইসলাম জানান, এ বছর ৮ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলাম, যা কেটেই সরিষা বীজ বুনে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি ধানের মতো সরিষা থেকেও ভালো ফলন পাব। এছাড়াও মাগুরা ইউনিয়নের সরিষা চাষী মাসুদ জানান,৭ বিঘা জমিতে সরিষার বীজ বপন করেছি। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে সরিষা থেকে মোটামুটি একটি ভালো অর্থ পাব। যা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ জোগাতে পারব বলে আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় গত বছর ৪ হাজার ৭৭৯ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত সরিষা থেকে হেক্টর প্রতি ১.২২ টন ফলন হয়েছিল। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে সরিষার বীজ বপন করা হয়েছে। যেখানে হেক্টর প্রতি ১.৫ টন ফলন হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, প্রতিটা আবাদে কৃষকদের ভালো ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার, বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ প্রতিনিয়ত নানাবিধ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও কৃষি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি