শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : প্রতিমা রং তুলির কাজ শেষ, এখন চলছে মন্ডপের ডেকরেটর ও প্যান্ডেল সাজানোর শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।জেলার ৪৫ মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। এরই মধ্যে মহালয়ার মধ্যদিয়ে তাড়াশে মন্ডপে মন্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা ।
এ উপলক্ষে শুক্রবার ( ১ অক্টোবর ) রাতে চন্ডিপাঠ, দেবী আরোধনা, নৃত্যসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উপজেলায় তাড়াশ মাঠ পূজা মন্ডপে এ মহালয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সনাতন ধর্মালম্বী শত শত নারী পুরুষ অংশগ্রহন করেন।
এ অনুষ্টানকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিলো আগ্রহ পুন্যার্থীদের।জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ডপে আরতী, নৃত্য,গানসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ষষ্ঠী পুজা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিজয়া দশমী পর্যন্ত।
এদিকে, মন্ডপের নিরাপত্তায় বেশিরভাগ মন্ডপ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিগত বছরেরর ন্যায় এ বছরও জেলার ৪৫ টি মন্ডপে চলছে শারদীয় দুর্গোসব। বিগত সময়ে করোনার কারনে উৎসবে ভাটা পড়লেও এবার বিপুল আয়োজনে পুজা উদযাপন করতে পারবেন বলে আশাবাদি সনাতন ধর্মালম্বীরা।
শুক্রবার বিভিন্ন মন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় মহালয়া। মন্ডপগুলোতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের।
এতে বাধ ভাঙ্গা উচ্ছাসে মেততে উঠেন পুণ্যার্থী ও ভক্তরা।
পুন্যার্থী সুশমিতা দে, প্রীতি দে ও সুমিত গোলদার বলেন, বিগত সময়ে আমরা করোনার কারনে পুজায় ঘূরতে বের হতে পারিনি, আশা করি এবার ভালো করে পুজা দেখতে বের হতে পারবো। এবার পুজা যেন সুন্দর ভাবে করতে পারি সেটাই প্রত্যাশা করছি।
কন্ঠশিল্পী আখি দে পাল বলেন, এ বছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। মন্ডপে মন্ডপে মায়ের দর্শন করবো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবো। এসব অনুষ্ঠান আরও বাড়তি আনন্দ দেয়।
তাড়াশ পুজা মন্ডপ কমিটির সদস্য গোপাল সাহা বলেন, ৭০ বছর ধরে আমরা পুজার আয়োজন করে আসছি, এ বছরও আয়োজন চলছে। ৪ দিন ধরে চলবে নানা অনুষ্ঠান।
জেলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোরাঙ্গ চন্দ্র দে ও সাধারন সম্পাদক অসীম সাহা বলেন, জেলার সব মন্ডবে বিপুল উদ্দিপনায় দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেছি, তারা আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার কথা জানিয়েছে। আমরা প্রশাসন এবং সংসদ সদস্যদের সার্বিক সহযোগীতায় বড় আয়োজনে পুজা উদযাপন করবো। আমাদের এমনি প্রস্তুতি রয়েছে।
তাড়াশে থানার ভার প্রাপ্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার সকল পুজার মন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গুরুপ্তপূর্ন মন্ডপেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। মন্ডপগুলোতে পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর শক্ত অবস্থান থাকবে। সিসি ক্যামেরায় আওতায় রাখা হয়েছে পুজা মন্ডপ।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে, আজ ১ লা অক্টোবর পুজার মূল আয়োজন শুরু হবে এবং ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে তা শেষ হবে।