রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন পাকুরিয়া এলাকায় এক লন্ডন প্রবাসীর জমির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাছে বাধা দেওয়া অভিযোগ উঠেছে তুরাগ থানার ওসি মেহেদি হাসান ও এসআই মশিউরের বিরুদ্ধে।গতকাল (বৃহস্পতিবার) জমির বাউন্ডারি নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ঝন্টু কাজী দীর্ঘ ২২ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন এবং তিনি সেখানকার নাগরিক এবং বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা সিআইপি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৬ কাঠা জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার লক্ষ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন ঝন্টু কাজী। হঠাৎ অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজন তার জমির ভেতরে তাদের অল্প কিছু জমি আছে বলে দাবি করে এবং এসিল্যান্ডকে দিয়ে হুমকি প্রদান করে জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরবর্তীতে এসিল্যান্ড বুঝতে পারেন এটা ঝন্টু কাজীর কেনা সম্পত্তি এবং এখানে ভেজাল নেই। তখন তিনি নিজ থেকেই সরে যান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ নিয়ে জোর করে সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসী একযোগে প্রতিহত করে প্রবাসী ঝন্টু কাজীর পক্ষ নিয়ে সামনে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনার পর থানায় জানালেও ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সন্ধ্যায় এসআই মশিউর সোর্স দিয়ে জমির মালিক ঝন্টু কাজীর কাছে চাঁদা দাবি করেন। এতে ঝন্টু কাজী চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় এসআই মশিউর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ওসিকে মোবাইলে বলেন ‘পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে জমির মালিক’, ‘তারে ধরে নিয়ে আসি স্যার’।
এ বিষয়ে ঝন্টু কাজী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছি। আমার কষ্টের টাকায় এক যুগ আগে এই জমি কিনেছি। আমি কাউকে এক পয়সা চাঁদা দিব না। এসআই মশিউরের সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা নেই। সে হঠাৎ সাংবাদিকের সামনে এসে বলছে ধরে নিয়ে যাবে। এটা কি মগের মুল্লুক?
আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এসআই মশিউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিব সে কিসের ভিত্তিতে আমার জমির কাজ বন্ধ করল? আমি তাকে কিসের চাঁদা দিব?
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটের গাঁথুনি দেওয়া সীমানা প্রাচীরের আংশিক কাজ হয়েছে। এর মধ্যেই পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ বন্ধ। ঘটনাস্থলে এসআই মশিউরকে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি ওসির নির্দেশে এসেছি।ওসির সঙ্গে কথা বলেন। তার অশালীন কথাবার্তার ভিডিও করতে চাইলে তিনি ঝন্টু কাজীকে গালিগালাজ করতে থাকেন।
এ বিষয়ে তুরাগ থানার ওসিকে একাধিকবার কল দিয়ে এবং খুদেবার্তা পাঠালেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশের উত্তরা জোনের উপকমিশনার মোর্শেদ আলম বলেন, চাঁদার বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। আর আমি ডিসি, আমি তো ওসি না যে ফিল্ডের বিষয়ে বলব।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি