ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার শহরের বিভিন্ন রুটের বাসের শেষ স্টপেজ হলেও সেখানকার যানবাহন ব্যবস্থাপনা খুবই নাজুক। যাত্রী নামানো কিংবা ওঠানোর ক্ষেত্রে কোনো শৃঙ্খলা নেই। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে পরিবহণ মালিক ও চালকদের বক্তব্য হলো-ডেমরায় পার্কিংয়ের জায়গাসহ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বেশিরভাগ সময় রাস্তায় গাড়ি রাখতে হয়। বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে সড়কের পাশে পার্কিং করতে হতো না।
ডেমরা থেকে শহরের কয়েকটি রুটে আসমানী, রাজধানী, অছিম ও স্বাধীন নামের প্রায় আড়াইশ যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। এরমধ্যে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচল করে দুই শতাধিক বাস ও দেড় শতাধিক লেগুনা। পাশাপাশি ঢাকা-সিলেটসহ বিভিন্ন রুটের অসংখ্য যান ডেমরা দিয়ে চলাচল করে। এছাড়া ব্যস্ততম এই সড়কের লিংক রোড দিয়ে অন্যান্য রুটের গাড়ি চলাচল করে।
সরেজমিন দেখা যায়, স্টাফ কোয়ার্টার-ডেমরা-রামপুরা সড়কের পাশে অবৈধ সিএনজি স্টেশন রয়েছে। এছাড়া ডেমরা-যাত্রাবাড়ি ও ডেমরা-রামপুরা সড়কের দুপাশে রয়েছে যাত্রীবাহী বাসের পার্কিং।
প্রতিদিন ডেমরা হয়ে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানের ১০ লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, গার্মেন্টকর্মী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ শ্রেণিপেশার মানুষ। এছাড়া প্রতিনিয়ত ডেমরা ও আশপাশে মানুষ বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে যানবাহনও। তাই শিগগিরই ডেমরায় বাসস্ট্যান্ড বা যানবাহন পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করার দাবি স্থানীয়দের। রত্না বেগম হালিমা নামে এক যাত্রী জানান, প্রতিদিন স্টাফ কোয়ার্টার থেকে তিনি গুলশান অফিসে যান। কিন্তু কখনোই ভালোভাবে বাসে উঠতে পারেন না। কারণ চলন্ত অবস্থায় হেলপাররা যাত্রী ওঠায়। এ কারণে প্রায়ই মহিলা যাত্রীসহ শিশু ও বয়স্করা দুর্ঘটনার শিকার হন।
পরিবহণ মালিক ও যাত্রীসাধারণের দাবি, ডেমরায় পরিকল্পিতভাবে যানবাহন স্ট্যান্ড বা পার্কিং স্পেস গড়ে তুলতে হবে। অবৈধ দখলে থাকা পর্যাপ্ত জায়গা দখলমুক্ত করে সেখানে স্ট্যান্ড গড়ে তোলা সম্ভব।
জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক বলেন, ডেমরা এলাকায় অবৈধ দখলে থাকা সড়ক ও জনপথের জায়গা শিগগিরই দখলমুক্ত করা হবে। ডেমরা-যাত্রাবাড়ি সড়কের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই সড়কে অপরিকল্পিতভাবে যে যার মতো যানবাহন চলাচ্ছে। অবৈধভাবে দখলে থাকা জায়গা দখলমুক্ত হলে সমস্যার সমাধান হবে।
সড়কে পার্কিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেমরা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন, সড়কের পাশে আমরা যানবাহন পার্কিং করতে দিই না। প্রতিনিয়ত মামলা করা হচ্ছে। কথা না শুনলে চালকদের আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থাও করি। আগামীতে সড়কে পার্কিং করার প্রয়োজন পড়বে না, কারণ কিছু যানবাহন মালিক নিজেদের উদ্যোগে জায়গা ভাড়া নিয়ে গাড়ি রাখা শুরু করেছেন।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি