শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
৫১ বছরেও সংরক্ষণ হয়নি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের স্মৃতিস্তম্ভ। কালের খবর

৫১ বছরেও সংরক্ষণ হয়নি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের স্মৃতিস্তম্ভ। কালের খবর

যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর :

৫১ বছরেও সংরক্ষণ হয়নি শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের স্মৃতিস্তম্ভ। সারা বছরই অযত্ন-অবহেলায় থাকে স্মৃতিস্তম্ভটি। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের মহেশখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম জেনাতুননেছা। বাবা আমানত শেখ। নূর মোহাম্মদ ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ছোট বেলায় তিনি বাবা-মাকে হারান। ১৯৬৯ সালে নূর মোহাম্মাদ ভর্তি হন ইপিআর বাহিনীতে (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি)। তখন তার বয়স ২৩ বছর। ট্রেনিংয়ের পর পোস্টিং হয় দিনাজপুর। সেখানে ছিলেন ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। তারপর আসেন যশোর হেড কোয়ার্টারে।
স্বাধীনতার সূর্য সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বাহিনীর মর্টারের আঘাতে প্রাণ হারান।যশোরের সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলার কাশিপুরে চিরতরে ঘুমিয়ে আছেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদসহ সাত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা। এখানে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ স্মৃতিস্তম্ভ। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ছাড়াও এখানে শহীদ আব্দুল আহাদ, শহীদ সুবেদার মনিরুজ্জামান (প্রাক্তন ইপিআর), শহীদ সৈয়দ আতর আলী (তদানিন্তন গণ পরিষদ সদস্য), শহীদ বাহাদুর আলী, শহীদ সিপাহী আব্দুস ছাত্তার বীরবিক্রম (প্রাক্তন ইপিআর) ও শহীদ সিপাহী এনামুল হক বীরপ্রতীক (প্রাক্তন ইপিআর)।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ সৈনিক জীবনের কঠিন দায়িত্ববোধ থেকে বিচ্যুত না হয়ে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। সহযোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে গেছেন নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে। তার সে চেষ্টা সার্থক হয়েছিল। নিরাপদে ফিরতে পেরেছিল সহযোদ্ধারা। শুধু ফিরে আসেননি নূর মোহাম্মদ। শত্রুপক্ষের একটি মর্টারের গোলা শেষে পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছিল তার জীবন প্রদীপ।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ছেলে এসএম গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন আমার বাবা। অথচ অবহেলায় পড়ে থাকে তার স্মৃতিস্তম্ভ। আমি স্মৃতিস্তম্ভটি সংরক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা এ জেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্বলিত যেসব স্থাপনা রয়েছে সবগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদের স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণে যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্যবস্থা নিব।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com