মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় আবারও ধুম পরেছে সোনালি ঐতিহ্যবাহী পাট ধোয়ার ধুম। তাড়াশ উপজেলায় পানি শূন্যতার কারনে বেশির ভাগ কৃষক পাট ধৌত করতে ও শুকাতে পারিনি এমন কি? কিছু কিছু কৃষি জমি পাট অবস্থায় শুকিয়ে পুরে গেছে। এই সোনালী আশ পাট সম্পর্কে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ বছর বয়সের মোঃ মহিউদ্দিন মহির বলেন আমার জীবনে আমি কখনও দেখিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চলন বিলে এত পানি শূন্যতা দেখিনি। পানি শূন্যতার কারনে তাড়াশ উপজেলার কৃষক কিছু কিছু কৃশি জমি পাট কাটা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলেও তিনি বলেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে তাড়াশ উপজেলার বিলে নাটরের সিকার পুর,মুশিন্দ কাছি কাটার, কৃষকেরা অটো ভ্যান গাড়ি করে,নছিমনে করিমনে গাড়ি বোঝাই করে ঐতিহ্যবাহী সোনালী আশ পানির অভাবে তাড়াশ উপজেলায় মহেশরৌহালী গ্রামের বিলের মধ্যে কিছু চাক চিক্ক পঁচা গলা পানির মধ্যে নিয়ে এসে তাড়া কোন মতন ডুবাইয়া রাখছে ঐতিহ্যবাহী সোনালী আশে পাট।
এ বিষয়ে সিকারপুরের একজন কৃষক মোঃ মতিন প্রারামানিকে জিঙ্গাসা করলে তিনি জানান আমাদের নাটরে সিকারপুর উপজেলায় কোন পানি না থাকার কারণে আমাদের সোনালী আশ পাটকে তাড়াশ উপজেলায় মহেশরৌহালীর চাক চিক্ক পানির বিলে নিয়ে এসেছি পঁচিয়ে সোনালী আশ বের করার জন্য। তানা হলে আমরা এ বছরে না খেয়ে মাড়াও যেতে পারি।
প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন ডুবিয়ে রাখার পর পাট পঁচে যখন আশ গুলো নরম ও তুল তুলে হয়ে যায় তখন কৃষক ও কৃষানিরা পাট থেকে সোনালী আশ ছাড়ানোর জন্য হাঠু পানি বা মাজা পানির মধ্যে নেমে সোনালী আশ ছাড়াতে ব্যস্ত থাকে। এই দৃশ্য দেখা গেছে হাইওয়ে রোডের পাশ্বের মহেশরৌহালীর চাক চিক্ক পানির বিলে।