কালের খবর প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পরিত্যক্ত এবং নির্জন কারাগারে রেখে সরকার মানবতার চরম লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে তাদের বিচারও বাংলার মাটিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, জনগণের উত্তাল তরঙ্গের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। জনবিছিন্ন হয়ে দেউলিয়া হওয়ার কারণে বিএনপির ১৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, সরকার মানুষের নৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বাংলাদেশের মানুষকে স্তব্ধ করা যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে।

তিনি আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য ছাত্রদল, যুবদল, মহিলাদল স্বেচ্ছাসেবকদলসহ দলের সকল অঙ্গসংগঠনকে ধন্যবাদ জানান। সেইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের কারও নেই। অনেকে ভেবেছেন কিছু একটা হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ, কিছুই হবে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে দেশনেত্রী বানিয়েছিলাম। আর সরকার তাকে কিংবদন্তি নেলসন ম্যান্ডেলা বানিয়ে দিয়েছে। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ দিতেই হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমাদের সংবিধান, জেলকোডে যে নিয়ম-কানুন আছে, সব কিছুর বরখেলাপ করে বেগম জিয়াকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। আমরা আইনি মোকাবেলা করছি। কিন্তু, তাকে যদি মুক্ত করে আনতে চান, তাহলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার বিচারের নামে প্রহসন করে ইচ্ছাপূরণ করেছে। আমরা সুবিচার পাইনি। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাই আইনিভাবে মোকাবেলা করছি। তারেক রহমানের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।