ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে প্রশাসন বড় অসহায়
মুরাদনগরের নিমাইজুড়ি নদীতে বাঁধ নির্মাণ : ফসলি জমি বিলীনের শংকা
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, কালের খবর :
নিমাইজুড়ি নদীতে বাঁধ দিয়ে কৃষি জমি কেটে মাটি আনার অভিযোগ ওঠেছে এক ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে। প্রভাব খাটিয়ে বিশাল এই নদীতে বাঁধ দেওয়ায় ফসলি জমি বিলীন হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন জানার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে। এ যেন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে প্রশাসন দুর্বলতার বর্হিঃপ্রকাশ।
জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা পূর্ব ঘোড়াশাল থেকে প্রবাহিত হওয়া নদীটি চাপিতলা হয়ে রামচন্দ্রপুর তিতাস নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এটি বুড়িনদীর একটি শাখা। যার নাম নিমাইজুড়ি নদী। এক সময় এ নদী দিয়ে যাত্রী ও মালবাহী শত শত নৌকা এবং ট্রলার চলাচল করতো। বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা আল কবিরের নেতৃত্বে একটি মাটিখেকোর সিন্ডিকেট নদীর মাঝে বঁাধ নির্মাণ করে। বঁাধের উপর দিয়ে প্রতিদিন ৮/১০টি ট্রাক্টর কৃষি জমি কেটে মা-বাবা ব্রিকসে মাটি জোগান দিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাপিতলা-পুস্কুরিনীরপাড় গ্রামের মধ্যস্থলে মা-বাবা নামক একটি ইটভাটা রয়েছে। সেই ইটভাটার মাটির জোগান দিতে নদীটির মাঝখান দিয়ে বাঁধ নিমার্ণ করে কেটে নিচ্ছেন নাঙ্গলিয়া বিলের শত শত হেক্টর কৃষি জমি। এতো বড় নদীতে বাঁধ নিমার্ণ করে নদীর স্বাভাবিক গতি পথ বন্ধ করে দেওয়ায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানায়, কৃষি কাজই আমাদের প্রধান পেশা। এ কাজ করেই আমরা জীবীকা নির্বাহ করি। কিন্তু ভূমিখেকো ইটভাটার মালিকরা আমাদের এ রুটি রুজিতে আঘাত করছে। এরা যে ভাবে কৃষি জমি নষ্ট করছে, তাতে কিছুদিন পর আমরা আর জমি খোঁজে পাবো না। প্রশাসন যদি এখনই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আমাদের ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ইটভাটা মালিক ও চাপিতলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা আল কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। পরে চায়ের দাওয়াত দিয়ে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহমেদ সোহাগ বলেন, এ ভাবে কৃষি জমি কেটে বিনষ্ট করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। ফসলি জমি রক্ষার্থে প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে। সম্মিলিত ভাবে সকলে এগিয়ে আসার পাশাপাশি সচেতন হতে হবে। অন্যথায় আগামী ১৫/২০ বছর পর কৃষি কাজ করার জন্য অনেক মাঠে জমি পাওয়া যাবে না।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। খুব দ্রুত নদীটি খুলে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি