এ সময় এফডিসিতে উপস্থিত ছিলেন নিপুণ। আপিল বোর্ডের নতুন সিদ্ধান্ত জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই কেঁদে উঠেন এই নায়িকা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সত্যের জয় হলো’।
নিপুণ বলেন, আমার কাছে অনেক ডকুমেন্টস ছিলো। জানুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে আমি নির্বাচন কমিশনকে সব বিষয় জানিয়েছি, কিন্তু আমাকে হেল্প করে নাই। এবার সত্যের জয় হয়েছে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আর কিছু বলার নাই।
এসময় আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান জানান, রবিবার শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ অনুষ্ঠান। কখন হবে সেটা জানিয়ে দেয়া হবে।
২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতি নির্বাচনের পরের দিনই ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদে ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। যদিও সেই সিদ্ধান্ত জায়েদ খানের পক্ষেই যায়।
তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেছিলেন সোহান। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা মেনে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুই পক্ষকে নিয়ে বসার উদ্যোগ নেন সোহান।
যদিও অভিযোগকারী নিপুণ ছাড়া অভিযুক্ত জায়েদ খান ও চুন্নু আপিল বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত হননি। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান লিখিত সিদ্ধান্ত নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আসেন।
আপিল বোর্ড প্রধান বলেন, আপিল বোর্ডের কাছে জায়েদ খান ও চুন্নুর বিরুদ্ধে নিপুণ যে অভিযোগগুলো করেছেন, এ বিষয়ে আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে দিক নির্দেশনা চেয়েছিলাম। এ বিষয়ে তারা আপিল বোর্ডকে একটি চিঠি দেয়। চিঠি মোতাবেক আপিল বোর্ড বিষয়গুলো তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেয়ে অভিযুক্ত প্রার্থী জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করে।
তিনি আরো জানান, জনাব জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ১৬৩ ভোট প্রাপ্ত নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়। কার্যনির্বাহী প্রার্থী জনাব চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় এই পদে ১৭৯ ভোট প্রাপ্ত জনাব নাদির খানকে জয়ী ঘোষণা করা হলো।
আপিল বোর্ড জানায়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত জায়েদ খান ও চুন্নু ব্যতিত বাকি সবকটি পদের ফলাফল অপরিবর্তিত থাকবে।