ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রোববার রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে ফতুল্লার নিচু এলাকায় হাঁটুপানি জমেছে।
এ ছাড়া বৃষ্টিতে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে এলাকার ভিন্ন অলিগলিতে। বিভিন্ন কারখানার রঙ কেমিক্যাল মিশ্রিত দূষিত পানি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে কর্মজীবী শিক্ষার্থীসহ সব পেশার লোকজনকে।
এসব এলাকায় রঙ কেমিক্যাল মিশ্রিত পানির সঙ্গে এলাকার ডাস্টবিনের ময়লা মিশে একাকার হয়ে গেছে।
কোতালেরবাগ এলাকার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মিয়া জানান, অল্প বৃষ্টিতেই এলাকার বউবাজারের সামনের সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। আর এ পানি দীর্ঘদিন থাকে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ময়লা আবর্জনায় ভরা পানি দিয়েই এলাকার মানুষের চলাচল করতে হয়। এতে বেশি সমস্যা হয় শিশুদের স্কুল-মাদ্রাসায় আনা-নেওয়ায়।
দাপা আদর্শ স্কুল এলাকার মাসুদ আলী জানান, বৃষ্টি ছাড়াই ফতুল্লা পাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ময়লা পানি জমে থাকে। আর বৃষ্টি হলে সেই পানি বেড়ে বাসাবাড়িতে ওঠে।
মুন্সিবাগ নূরবাগ এলাকার আউয়াল মুন্সি জানান, আমাদের এলাকার সড়কগুলো নিচু অবস্থায় রেখে পাকা করা হয়েছে। এতে অল্প বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু পানি জমে। ফলে সড়কের অধিকাংশ স্থানই ভেঙে গেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সস্তাপুর গাবতলা এলাকার সুমন রেজা জানান, সদর উপজেলার পুরাতন সড়ক সস্তাপুর গাবতলা থেকে চাঁনমারী ইসদাইর প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত সড়ক পাকা করলেও ড্রেনেজব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ ছাড়া সড়কের অধিকাংশ স্থানেই উঁচু-নিচু। বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে থাকে। এ পানি সহজেই নিষ্কাশন হয় না। আর জমে থাকা পানির কারণে সড়কের পিচ ঢালাইও উঠে গেছে। দিন দিন সড়কটির অবস্থা নাজুক হচ্ছে। এ সড়কের পাশে একাধিক সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা এবং ঘনবসতি রয়েছে। ফলে এ সড়কে যাতায়াত করতে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এলাকাবাসীর দাবি— ফতুল্লার প্রতিটি এলাকার সড়ক উঁচু করে ড্রেনেজব্যবস্থা রেখে মেরামত করতে হবে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি