শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
এস এম হোসেন রানা,ইসলামপুর প্রতিনিধি, কালের খবর : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পলবান্ধা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান কমলের প্রচারণায় বাঁধা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ উঠেছে, নৌকা প্রার্থীর লোকজনের হাতে মরধোরের শিকার হতে হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদেরকে।
ভূক্তভোগি প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। করেছেন সংবাদ সম্মেলনও। তবে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহাদৎ হোসেন স্বাধীন।
নির্বাচনী প্রচার কাজে বাঁধা দেওয়ায় বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পলবান্ধা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কমল। সিরাজাবাদ বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্রে ওই সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য দেন তিনি।
ভূক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান কমল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার আনারস প্রতীকের প্রচারণা কাজে বাঁধা এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহাদৎ হোসেন স্বাধীন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তারা বলে, আমি যদি নির্বাচন থেকে সড়ে না দাঁড়াই তাহলে আমাকে খুন করে লাশ গুম করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিরাজাবাদ বাজারে আমার নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রের সামনে প্রচারণা বন্ধ করে দেয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহাদৎ হোসেন স্বাধীনের লোকজনেরা। এ সময় ওলি মিয়া নামে আমার এক কর্মীকে ডেকে নিয়ে যায় পাশে তাদের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে। সেখানে ওলি মিয়াকে ২০ হাজার টাকা ও একটি পিস্তুল ধরিয়ে দিয়ে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলতে বলে। এতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেধড়ক মারধোর করে। গুরুতর আহত হয় ওলি মিয়া।
এ ঘটনা ঢাকতে উল্টো আমাদের ফাঁসাতে তারা নিজেরাই তাদের প্রচারণা কেন্দ্রের চেয়ার ভাঙচুর করে এবং নৌকা প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলে ইসলামপুর থানা পুলিশে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার হোসনে আরা বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার কাজে বাঁধা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত পদপে নেওয়া হবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহাদৎ হোসেন স্বাধীন তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। আমরা কাউকে প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছি না। বরং তারাই রাতে আমার অফিসে ঢুকে ভাঙচুর করেছে।’
এ ব্যাপারে ইসলামপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি আমি জানিনা। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৬ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৬ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন, এবং স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) ১২ জন, স্বতন্ত্র (বিএনপি) ৩ জনসহ ২৯ জন প্রার্থী হয়েছে।’