শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে মেঘনা নদীর বাঞ্ছারামপুরের অংশে মরিচাকান্দিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-ফরিদ মিয়া (৪৫) ও জুয়েল (৩৫)।
ফরিদ নরসিংদীর সদরের সঙ্গীতা এলাকার জুলফু মিয়ার ছেলে ও জুয়েল উপজেলার সলিমাবাদের খুরশিদ মিয়ার ছেলে। জুয়েল সলিমাবাদ ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে নবীনগরের সলিমগঞ্জের উদ্দেশ্যে নরসিংদী থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পীডবোর্ডে ড্রাইভারসহ ১২ জন যাত্রী ছিল। মেঘনা নদীর বাঞ্ছারামপুরের মরিচাকান্দি অংশে স্পীডবোর্ডটি বালুবাহী ট্রলারের সাথে সংর্ঘষ হয়। দুর্ঘটনায় ১২ জন যাত্রী মধ্যে গুরুতর আহত জুয়েলকে ঢাকায় নেওয়া পথে এবং নরসিংদী নেওয়ার পথে ফরিদ মিয়ার মৃত্যু হয়।
বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো: রাজু আহমেদ দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্পিডবোটটি ১০/১২ জন যাত্রী নিয়ে নরসিংদী থেকে মরিচাকান্দি হয়ে সলিমগঞ্জ নৌঘাটে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে একটি ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সবাই প্রাণে রক্ষা পেলেও জুয়েল ও ফরিদ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্পিডবোট চালককে খোঁজে পাওয়া যায়নি।