শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
জানা গেছে, বিগত ১৯৯৮ সালে মিতালী মার্কেট জামে মসজিদ করার জন্য জমি ওয়াক্ফ করা হয়। যার ইসি নং-১৮৬০২। ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মো. রফিকুল ইসলামকে মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা হয়। মসজিদের জায়গায় বালু ভরাট শুরু করা হলে মো. আহসান উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করেন। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু আব্দুস সাত্তার গোপনে রাতের আঁধারে বালু ভরাট করার পাশাপাশি জমির মালিক দাবি করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় বলে মিতালী মার্কেট কর্তৃপক্ষের অভিযোগ।
মিতালী মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ জানান, মিতালী মার্কেটের ৭ হাজার সদস্যের ইবাদতের জন্য মসজিদ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হয়। আপাদত টিন দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ আদায় করা হচ্ছে। এই মসজিদটি জোর করে দখল করে পেট্রোল পাম্প নির্মাণ করার জন্য বালু ভরাট করছে আব্দুস সাত্তার।
মিতালী মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজি ইয়াছিন মিয়া বলেন, আব্দুস সাত্তার পেট্রোল পাম্প করেছিল সরকারি জায়গায়। রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হওয়ায় সরকার তার পাম্প উচ্ছেদ করে দেয়। তাই তিনি মিতালী মার্কেটের ওয়াক্ফ করা মসজিদের জায়গা জবর দখল করে পেট্রোল পাম্প করার চেষ্টা করছে।
এবিষয়ে চৌরঙ্গী পেট্রোল পাম্পের মালিক আব্দুস সাত্তার বলেন, জমির প্রকৃত মালিক আমি। মিতালী মার্কেটের লোকজন ভূয়া কাগজ নিয়ে জোর করে আমার জমি নিয়ে যেতে চাচ্ছে। জমি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা চলছে।
আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালত যে রায় দিবেন তা মেনে নিব। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কি করে জমির মালিকানা দাবি করে তা আমার বোধগম্য নয়।