ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে ব্যাবসায়ী ও পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সড়কে কোনো যানবাহন দেখলেই তার পথ আগলে দাঁড়িয়ে গেছে একটি হাতি। শুঁড় বাড়িয়ে দিয়েছে ‘চাঁদা’র জন্য। টাকা না দিয়ে পার হতে পারেনি ট্রাক, বাস, অটোরিকশা এমনকি মোটরসাইকেলও।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে হাতিটির দেখা মেলে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরে। পৌর সদরের বাসিন্দারা জানান, টাকা না দিলে হাতি দিয়ে সড়কের যানবাহন থামিয়ে দেয়। প্রতিনিয়ত হাতির চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এটা এক ধরনের মহা বিড়ম্বনা।
গুনবহা তালতলা বাজারে ব্যাবসায়ী হারুন মোল্লা জানান, হাতিটি দোকানের সামনে এসে শুঁড় তুলে সালাম দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। টাকা না দিলে যায় না। কি আর করা ভয়ে ১০/২০ টাকা দিয়ে সড়াতে হয়। প্রতি মাসে এক দুইবার এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে চাঁদা তুলার কাজে জড়িত ও হাতির মাহুত রবিউল ইসলামের ভাষ্য, এভাবেই নিত্যদিন টাকা তোলা হয় এটা ঠিক। হাতিটি দি লায়ন সার্কাসের। বিভিন্ন সময়ে খুলনা থেকে ফরিদপুর যাওয়া আসার পথে যে যা দিচ্ছে তাই নিচ্ছি। হাতির পিছনে খরচ খর্চা বাবদ কিছু টাকাপয়সা তোলা হয়। এটা কোন চাঁদাবাজি নয়। কাউকে টাকার জন্য জোর করা হয় না। হাতি দেখে সবাই খুশিমনে টাকা দেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে লালন-পালন করা হাতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। তবে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি বন্ধ করতে সাধারণ আইনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে কেউ যদি সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি