শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
সবরি কলা চাষে বছরে লাখ টাকা আয় শহীদের

সবরি কলা চাষে বছরে লাখ টাকা আয় শহীদের

আব্দুস শহীদ। পেশায় কৃষক। তিনি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আলাপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীর চরে প্রায় ১১০ শতক জমিতে আগাছা পরিষ্কার করে সবরি কলা চাষ করেছেন। এখন তিনি একজন সফল কলা চাষি।

সরেজমিনে গেলে কৃষক আব্দুস শহীদ বলেন, চাষে বিষ প্রয়োগ করতে হয় না। কিছু পরিমাণে সার ও অধিক পরিমাণে গোবর দিতে হয়। প্রায় ৪ বছর ধরে এ জাতের কলা চাষে সফলতা পেয়েছি। প্রতি হালি কলা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাগানে এসে কলা নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা। বিষমুক্ত থাকায় স্থানীয়দের কাছে এ কলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। প্রতি বছর কমপক্ষে ১ লাখ টাকার কলা বিক্রি করা যাচ্ছে। এরমধ্যে চাষে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।

তিনি ডাক্তারের কাছ থেকে জেনেছেন ক্যালরির চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে সহজলভ্য ফল কলা।  এতে থাকা ক্যালরির পরিমাণ ১০০। এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

এলাকার কৃষক জাকির মিয়া বলেন, আব্দুস শহীদ আমার ওস্তাদ। তিনি আমাকে কৃষি কাজ শিখিয়ে বিরাট উপকার করেছেন। বর্তমানে আমি সবজি চাষের পাশাপাশি গরু পালন করছি। এতে একাধিক লাভ। গরুর গোবরে বিষমুক্ত ফসল চাষ হচ্ছে। গরু বিক্রিতে আসছে অর্থ।

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে কর্মরত ডা. মিঠুন রায় বলেন, গুণেসমৃদ্ধ ফল হলো কলা। এর পুষ্টিগুণ অধিক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপাদান, যথা আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ। কলা ক্যালরির একটি ভালো উৎস। এতে কঠিন খাদ্য উপাদান এবং সেইসঙ্গে পানি জাতীয় উপাদান সমন্বয়ে যেকোনো তাজা ফলের তুলনায় বেশি।

তিনি আরও বলেন, কলা যখন অতিরিক্ত পেকে যায় এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলা শরীরে শক্তি যোগায় এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এখানে কৃষক আব্দুস শহীদ বিষমুক্ত কলা চাষ করছেন জেনে অত্যন্ত ভালো লাগছে। একইভাবে অন্য কৃষকদেরও কলা চাষে উৎসাহিত করা প্রয়োজন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তমিজ উদ্দিন খান বলেন, সবচেয়ে সহজলভ্য হলো কলা। রাস্তার আশেপাশের চায়ের দোকানে তাকালেই দেখা মেলে কলার। রাস্তায় হাঁটছেন, কলা দেখেই খেয়ে নিচ্ছেন দুটি। অফিস থেকে ফেরার পথে এক কাঁদি কলা হাতে ঢুকছেন বাসায়। এ দৃশ্য সচরাচর সর্বত্রই দেখা যায়। সকালের নাস্তার টেবিলে অনেকেই রাখছেন কলা। বাচ্চাদেরও কলা খেতে তাগিদ দিচ্ছেন। তেমন ঝুঁকি না থাকায় হবিগঞ্জের স্থানে স্থানে কলা চাষ হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের উৎসাহ পেয়ে কৃষকরা কলা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এ কারণে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে কলা। সারা বছরই ফলে। পুষ্টিগুণে ভরপুর কলা চাষ করে কৃষক আব্দুস শহীদ সফল। এ কারণে ভালো লাগছে। হবিগঞ্জে অনেক সময় বড় সবরি কলার হালি ১২০ টাকাও বিক্রি হয়, বলেন তিনি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com