মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : ঐতিহাসিক চলনবিল অঞ্চলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শামুক ও ঝিনুক নিধন করছে অসৎ মৎস্যজীবীরা। স্থানীয় প্রশাসন এ জলজ প্রাণী নিধন রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চলনবিলাঞ্চলের ওই ২ টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় অসৎ মংস্যজীবীরা বিশেষ কৌশলে শামুক ও ঝিনুক নিধন করছে। তবে চলনবিল ও তার শাখা খাল বিলে পানি কম থাকায় অবাধে এ শামুক নিধন করছে তারা।
অবশ্য স্থানীয়রা বলছে, চলনবিলে এখন পানি কম থাকায় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে তারা শামুক ও ঝিুনক নিধন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এ শামুক ও ঝিনুক নিধনে প্রতিদিন ভোর রাতে ওই বিল এলাকায় বেরিয়ে পড়ে তারা। ৩/৪ জন দল বেঁধে মই জাল টেনে ১০/১১ মণ এ শামুক সংগ্রহ করে থাকে। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের নাদো সৈয়দপুর খেয়াঘাট, তাড়াশ-গুরুদাসপুর সড়ক, কামারশন ও কুন্দইল ঘাটসহ বিল অঞ্চলের বেশ কয়েকটি স্থানে শামুক বেচা-কেনা হচ্ছে। ওই বিলে চলাচলরত শ্যালো মেশিনের নৌকায় শামুক বিক্রির জন্য নিয়ে আসে মৎস্যজীবীরা। প্রতিমণ এ শামুক ও ঝিনুক সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারীরা এ লাভজনক শামুক ও ঝিনুক কিনে নিয়ে ট্রাক যোগে খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাঁস খামারিদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এছ্ড়াা এ শামুক বিভিন্ন স্থানে মাছের খাবার হিসেবেও বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় শামুক ও ঝিনুক ব্যাপারীরা বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার বস্তা শামুক কেনা হয়। এ বিষয়ে প্রাণীবিদরা বলছেন, শামুক ও ঝিনুক প্রাকৃতিক ভাবে কাদাঁ পানি পরিষ্কার করে। এতে মাছসহ বেশিরভাগ জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। এ শামুক নিধনে এ ঐতিহাসিক বিলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাবে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন, এ বিলাঞ্চলে অসৎ মংস্যজীবীরা মাছের পাশাপাশি শামুক ঝিনুক নিধন করছে। বিশেষ করে শামুক ঝিনুক নিধন রোধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি