শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীনগরে এসিল্যান্ডের অভিযানে ২০ হাজার ৪ শত টাকা জরিমানা। কালের খবর সখীপুরে টিনের বেড়া কেটে স্বর্নলংকারসহ নগদ টাকা চুরি! তাড়াশে তুষ ও হারিকেন পদ্ধতিতে উৎপাদিত হচ্ছে হাঁসের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর নবীনগরে লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ প্রাইভেট হাসপাতালকে ইউএনও এর অর্থদন্ড। কালের খবর শিবগঞ্জে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। কালের খবর জিল্লার রহমান সাবেক সচিব তিন হাজার মোটর সাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা। কালের খবর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন পলাশবাড়ীর এম.এ রব মিয়া। কালের খবর শাহজাদপুরে জাতীয় স্থানীয় সরকার উন্নয়ন দিবস পালিত। কালের খবর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ইনোসাইটস শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত। কালের খবর
তাড়াশে গ্রামে গ্রামে পাট কাটার মহা ধুম পড়েছে। কালের খবর

তাড়াশে গ্রামে গ্রামে পাট কাটার মহা ধুম পড়েছে। কালের খবর

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর :

তাড়াশ উপজেলায় কৃষকরা এখন পাট গাছ কাটা, জাগ দেওয়া, শুকানো ও বাজারজাত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার অধিক বৃষ্টির কারণে জলাশয়ে পানি জমে থাকার ফলে পাট চাষিরাও খুঁশি। চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি উচ্চ দামের আশা করছেন কৃষকরা।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়,এ বছর উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির মধ্যে পাট চাষের জন্য ১৭ হাজার ৬’শ ৬৫ হেক্টর জমি নির্ধারন করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬’শ ২৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি পনের বেল। এ হিসেবে বিঘা প্রতি আট মণ পাট কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন।

বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে উপজেলার সর্বত্র পাট কাটা শুরু হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে আগষ্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাট কাটা চলবে । তবে পাট জাগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় ডোবা-নালা,খাল-বিল ও জলাশয় কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক জমি থেকে পাট কেটে ভ্যান ভাড়া করে ৪/৫ কিলোমিটার দুরে নদীতে ও দুরবর্তী বিভিন্ন জলাশয়ে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। জমিতে পাট কাটার উপযুক্ত হলেও জাগ দেওয়ার জায়গার অভাবে পাট কাটতে পারছেন না অনেক কৃষক। কেউ কেউ জায়গা ভাড়া করেও পাট জাগ দিচ্ছেন। সার ,বীজ, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক খরচ ছাড়াও তাতে বাড়তি খরচের হিসাব টানতে হবে বলে কৃষকরা জানান।

মহেশরৌহালী গ্রামের পাটচাষি ছোরহাবপ উদ্দীন জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ১বিঘা জমিতে পাট আবাদসহ ধুয়ে শুকিয়ে ঘরে তুলতে সব মিলিয়ে খরচ হবে প্রতি বিঘায় প্রায় ৮ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ৭/৮ মণ পাট উৎপন্ন হবে বলে আশা করছেন তিনি। গত বছর বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি করেছিলেন ১হাজার ৫’শ টাকা দরে । নানাবিধ খরচের কারণে এবছর ওই দামে প্রতিমণ পাট বিক্রি করতে না পারলে আবাদে লাভ হবেনা তার।

বিরল গ্রামের আরেক চাষি সামাদ আলী এবার ৬ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। উৎপাদন আশা করছেন বিঘা প্রতি ৮ মণ। বাজার দর ভালো পেলে আবাদে লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি। ব্যসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ২/১ সপ্তাহের মধ্যে হাট বাজারে নতুন পাট বেচা-কেনা শুরু হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নেসা বেগম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। পাটের বহুবিধ ব্যবহারের ফলে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। গত বছর ভালো দামে পাট বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com