সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে গৃহ নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০০টি ঘর বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬০টি ঘর বিতরণের সব প্রস্তুতি সম্পন্নের পথে। বাকি ১৪০টি ঘরের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।
২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীনদের মাঝে এসব ঘর বুঝিয়ে দেয়ার কথা রয়েছে।
নিজেদের একটি পাকা ঘর পাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বপ্নভরা চোখে দিন গুনছে শ্রীমঙ্গলের ১৬০টি দরিদ্র গৃহহীন পরিবার। যেখানে নিরাশ্রয় এসব মানুষ কোনোদিন ভাবেনি যে তারা একদিন নিজেরা জমির মালিক হবে আর পাকা ঘরে বসবাস করবে। অবশেষে স্বপ্নের ঠিকানার খোঁজ পেয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ২০ একর জমিতে নির্মিত মোট ৩শ’ ঘর নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়। এর মধ্যে ১৬০টি ঘর বিতরণের জন্য নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার তালিকাভুক্ত ১৫শ’ উপকারভোগীর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ইতোমধ্যে ১৬০টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তরের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগসহ দৈনন্দিন সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও মন্দির। এছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ৮টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। প্রকল্প এলাকাবেষ্টিত বন্দোবস্ত অযোগ্য ১নং খাস খতিয়ানে প্রায় ১শ’ একর পতিত ভূমি রয়েছে; যেখানে ভূমিহীনরা লেবু, আনারস চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
এছাড়া আশপাশে দ্রুত বর্ধনশীল অনেক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে- সেখানেও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ১৬০টি ঘর নির্মাণে ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানা যায়।
২০ জুন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উপজেলার ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের মাজদিহি পাহাড় এলাকায় নয়নাভিরাম দৃশ্যের মাঝে এ আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে এরই মধ্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুস শহীদ সার্বক্ষণিক প্রকল্পের অগ্রগতির খোঁজখবর রাখছেন বলে জানা যায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, গৃহহীনদের মাঝে ঘরের মালিকানা বুঝে দেয়ার জন্য সবরকম প্রস্তুতি শেষের দিকে। ২০ জুন নির্ধারিত সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘর বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। সব ঠিক থাকলে এদিন নির্বাচিত উপকারভোগীরা নতুন ঘরে উঠতে পারবেন।