মোঃ মুন্না হুসাইন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ ) প্রতিনিধি, কালের খবর :
চলনবিলের নদ-নদী ও ডোবা-নালায় বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে। নিচু এলাকার ধানের উঠানেও পানি উঠে পড়েছে। কিন্তু এখনো তাড়াশের বিলাঞ্চলে ২৫০ হেক্টর জমির বোরো ধান জমিতে রয়ে গেছে। এ কারণে ধান কাটা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে মঙ্গালবাল (৮জুন) সকালে দেখা গেছে, সগুনা ইউনিয়নের মাকড়শন গ্রাম এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠে-মাঠে পাকা-আধা পাকা ধান। কৃষকেরা অবস্থার বেগতিক বুঝে অধিক সংখ্যক কৃষি শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সগুনা ইউনিয়নের মাকড়শন গ্রামের রেজাউল করিম নামে একজন কৃষক বলেন, ৪০ বিঘা জমিতে তিনি বোরো ধানের আবাদ করেছেন। সেসব জমির ধান পাকতে এখনো সপ্তাখানেক দেরি আছে। কুন্দইল গ্রামের জলিল সরকার নামে আরেকজন কৃষক বলেন, কিছুটা কাঁচা থাকতেই অনেকে ধান কেটে বাড়িতে আনছেন। কিন্তু বাড়ির উঠানে পানি উঠে পড়ায় ধান মাড়াই করা নিয়ে আরেক বিরাম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে বিলের নদ-নদী ও ডোবা-নালা পানিতে ভরে জমির আইলে পানি ছুঁই-ছুঁই করছে। প্রকৃতিরও বিরুপ আচরণ। দিনে কয়েকবার করে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে শংশয় কাটছেনা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেন, যে সব কৃষকের খেতের অনন্ত ৮০% ধান পেকে গেছে তাদের আর দেরি না করে ধান কাটার মরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি