নবীনগরের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মোহেশ রোড সংস্কার প্রকল্পের কাজ পায় মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ। বিভিন্ন জটিলতার কারণে চলমান সংস্কার কাজে ধীরগতি হওয়ায় স্থানীয়রা চলাচলে দুর্ভোগে পড়ে। ঈদ সামনে রেখে রাস্তাটির অতিরিক্ত কাজ হিসেবে গর্ত ও ভাঙা স্থানগুলো সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য স্থানীয় এমপি ঠিকাদারকে অনুরোধ করেন। ঠিকাদার এমপির সম্মানার্থে নিজ খরচে ওই রাস্তার সংস্কার কাজ করেন। তবে এ কাজে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী মোক্তার হোসেন ও স্থানীয় নেতা নাটঘর গ্রামের এরশাদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ইটভাটা থেকে পরিত্যক্ত ভাঙা ও গুঁড়া আদলা ইট বিনামূল্যে নিয়ে সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ হাসান এন্টারপ্রাইজের মালিক খাইরুল ইসলামের। অথচ ওই সংস্কার কাজে আদলা ইট ছাড়া বাকি সব টাকা ঠিকাদার বহন করলেও তা এমপির কাছে গোপন রেখে ওই পুরো অতিরিক্ত সংস্কার কাজের জন্য টিআর-কাবিখা প্রকল্প থেকে ১৫ লাখ টাকা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ফান্ড থেকে ৩ লাখ টাকাসহ মোট ১৮ লাখ টাকা তুলে নেন মোক্তার ও এরশাদ।
এ ব্যাপারে মোক্তার হোসেন ও এরশাদ মিয়ার সঙ্গে কথা বললে তারা ওই রাস্তা সংস্কারে বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এ রাস্তার অতিরিক্ত কাজের জন্য উপজেলা পরিষদের ফান্ড থেকেও তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। যদি ঠিকাদার তার নিজ খরচে ওই অতিরিক্ত সংস্কার কাজ করে থাকেন, তাহলে আমাদের টাকা গেল কোথায়?
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, ঠিকাদারইবা নিজ খরচে সংস্কার কাজ করবে কেন? আমি তো কাজের জন্য ১৫ লাখ টাকা বিল দিয়েছি।