সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে ক্লূলেস হত্যার আসামি আটক
সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম হাসান।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উদ্ধার অজ্ঞাত বস্তাবন্দী নারীর পরিচয় ও খুনি শনাক্ত করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। ওই নারীর নাম ডলি আক্তার (২৮)। সে ঝিনাইদহ সদরের বর্ধনপুর গ্রামের মৃত ফেলু মন্ডলের মেয়ে। লাশ উদ্ধারের ১৩ ঘন্টার মাথায় গত মঙ্গলবার (১৮ মে) রাত ৩টার দিকে একটি বস্তার গায়ে লেখা এক ব্যক্তির নামের সূত্র ধরে পুলিশ তার স্বামী মসুদ মিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। সে উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত এখলাছ মিয়ার ছেলে।
বুধবার (১৯ মে) ভোররাতে শ্রীমঙ্গল থানাধীন রামনগরস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল, অতিরিক্ত পুলিশ পদেপদোন্নতিপ্রাপ্ত), আশরাফুজ্জামান এর নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুছ ছালেক, অফিসার ইনচার্জ ( তদন্ত) মো: হুমায়ুন কবির এই ক্লুলেস হত্যা রহস্য উদঘাটনে অভিযান পরিচালনা করে খুনিকে সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সাংবাদিকদের কাছে এই হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক ঘটনা বর্ণনা করেন।
গত ১৮ মে উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের পশ্চিম বেলতলী এলাকার উদনা ছড়া ব্রিজের নীচ থেকে অজ্ঞাত বস্তাবন্দী এক নারীর লাশ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খুনি যে বস্তায় ভরে লাশ ব্রিজের নীচে ফেলে দেয়, তদন্ত কর্মকর্তারা সেই বস্তার গায়ে লেখা অনিক নামের এক ব্যক্তির সন্ধান পায়। পুলিশ শহরের সাইফুর রহমান মার্কেটের পুরাতন কাপড়ের ব্যবসায়ী দুই ভাই অনিক ও জুয়েলের কাছ থেকে জানতে পারেন গত ১৭ মে, তার পূর্বপরিচিত মসুদ বস্তাটি সংগ্রহ করে। এ সূত্র ধরে পুলিশ মসুম মিয়াকে আটক করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মসুদ মিয়া এই হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়।