প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ৩:৫৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৪, ২০২১, ২:৪০ পি.এম
সোর্স বাবু -বিশু ও মিশু চক্র নারায়ণগঞ্জ এসপির বন্ধু পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি। কালের খবর
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, কালের খবর : নিষিদ্ধ প্রথা ক্যাশিয়ারী। এরপরে ও চলছে পুলিশের তথাকথিত ক্যাশিয়ার দিয়ে মাসোয়ারা আদায়ের অপকর্ম। ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়ে আবারও নারায়ণগঞ্জ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মোফাজ্জল হোসেন ওরফে বিশু ও হোসেন প্রধান মিশু ও বাবু চক্র। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও মাদক ব্যবসা, চোরা কারবারীদের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও কথিত সাংবাদিক সাইফুল আলম বাবু নিজেকে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জায়েদ পারবেজ চৌধুরী ও ওসি এনামুলের বন্ধু পরিচয়ে বিশু ও মিশুকে নিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ডিবি, সিাআইডি ও সিদ্ধিগঞ্জ থানার ওসি মসিউর রহমানের নামে মাসোয়ারার টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, বহু অপরাধের হোতা এই সোর্সরা জেল থেকে বের হয়ে বর্তমান এসপি আসার পর বিগত কয়েক মাস বিতর্কিত চাদাবাজি থেকে চক্রটি বিরত থাকলেও সম্প্রতি আবারও পূবের্র মত বেপরোয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। পুলিশের নাম ভাঙিয়ে জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হয়রানিও শুরু করেছেন। এই বিশু ও মিশু চক্রের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের একজন পুলিশ সোর্স ও নিষিদ্ধ পত্রিকার কথিত সাংবাদিক নামধারি সাইফুল আলম বাবু ও মুন্না এ চক্রের অন্যতম প্রতারক বলে জানা গেছে। কথিত সাংবাদিক সাইফুল বিগত ৪ মাস আগেও আদমজী ইপিজেডে সিকিউরিট গার্ডের চাকরি করলেও বর্তমানে সে নিজেকে সাংবাদিক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বন্ধু পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রানী করছে। সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যবসায়ী এমদাদ, ইউনুছ, মনির, সেলিম, মিলন ও হান্নানের কাছ থেকে ডিবি, সিআইডি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির নামে মাসোয়ারার টাকা আদায় করে নিয়েছে উল্লেখিত ব্যক্তিরা। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, টাকা দিতে না চাইলে পুলিশ নিয়ে অভিযানের ভয় দেখিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানীর হুমকি দেয় চক্রটি। পুলিশী হয়রানী থেকে বাচার জন্য বাধ্য হয়ে কথিত এই সোর্সদের টাকা দেই।সূত্র জানায়, বর্তমান পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম এখানে আসার পর থেকেই সোর্সের অপকমের্র বিরুদ্ধে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। এ কারণে এ চক্রটি অপকর্মের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার সাহস দেখায়নি এতদিন। তবে, বর্তমানে এ চক্রটি আবারও আগের মত অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন জ¦লানী তেলের ব্যবসায়ী, ভাঙ্গারী দোকান, বেকারী,পলিথিন কারখানা, গজারি বন, জুয়ার আসর, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষকে হুমকি ধামকি দেওয়া থেকে শুরু করে পুলিশ ও সিআইডির নামে ভয় ভীতিও দেখিয়ে মাসোয়ারার টাকা আদায় করে নিচ্ছে। এতে করে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সূত্রে জানায়, বিভিন্ন স্থানে সাধারণ সানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে বহু পুরনো। চোরাই তেল ও মাদক ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া ডিবি ও থানা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মাসোয়ারা উঠাতেন তারা। এরমধ্যে একাধিকবার পুলিশ মিশু ও বিশুকে গ্রেফতারও করেছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে এসপি হারুন থাকতে ডিবি বিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশের নামে চাদাবাজির অভিযোগে। এদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
সূত্র জানায়, এ চক্রটি নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা বাণিজ্য না করেও অঢেল টাকার মালিক। বিশু শহরের পাইকপাড়া ও পুলিশ লাইনস এলাকায় তৈরি করেছেন বহুতল ভবন। সোর্স মিশু সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় তিন তলা বাড়ি সহ রয়েছে একাধিক প্লট। চক্রটি মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে ও জড়িত বলে জানিয়েছেন একাধিক লোক। এরা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে ডিবি, সিআইডি ও থানা পুলিশের ভয় ভীতি দেখিয়েই অর্থ রোজগার করাই তাদের অন্যতম পেশা। এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পুলিশের আরও দুর্নাম রটাবে।
চক্রটি জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিবির ওসি এনামুল কবিরের নাম ভাংগিয়ে এসব অপর্কম করে যাচ্ছে বিগত ৪ মাস যাবত। চক্রটি প্রতি মাসে ডিবি, সিআইডি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নামে লাখ লাখ টাকার মাসোয়ারা আদায় করছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এ ব্যপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জায়েদ চৌধুরী জানান, এ নামে আমার কোন বন্ধু নেই। তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তিনি বলেন। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন। সিআইডি এএসপি হারুন রসিদ বলেন, আমারা কাউকেই এমন নির্দেশ দেইনি। প্রতারক মোফাজ্জল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মসিউর রহমান জানান, টাউট বাবু, মিশু, বিশু চক্রকে ডিবি ও থানা পুলিশ গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি