বোয়ালমারী (ফরিদপুর)থেকে এমএম জামান, কালের খবর :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাসীন সেই আওয়ামীলীগ নেতা তার ফসলি জমির মাটি বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন বিভিন্ন ইটভাটায়। ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর সিদ্দিকী আইনের তোয়াক্কা না করে বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা মীরেরচর মাঠের তার মালিকানাধীন ২ একর ১৯ শতাংশ ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে দীঘি খনন করছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ ঘটনাস্থলে তহশিলদার পাঠিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রভাবশালী ওই আ'লীগ নেতা তা মানছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, দুই দিন বন্ধ থাকার পর আবার মাটি কাটা শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাফর সিদ্দিকী বলেন, আমরা ভাটা মালিকরা জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার জন্য ডিসি স্যারের নিকট আবেদন করেছিলাম। ডিসি স্যার ওই আবেদন বোয়ালমারী এসি ল্যাণ্ডের নিকট পাঠিয়েছেন। তিনি কি রিপোর্ট দিয়েছেন তা আমি জানি না। তবে ইউএনও স্যারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে মাটি কাটছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, আমার মৌখিক অনুমতির ব্যাপারে জাফর সিদ্দিকী যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি মাটি কাটার কোন মৌখিক অনুমতি দেই নাই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক বলেন, আমি আজ (বুধবার) সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যাব। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। খননকৃত ওই দীঘির চারপাশেই ফসলি জমি। এর ফলে খননকৃত মাটি আনা নেয়ার কাজে নিয়োজিত ট্রাকগুলো চলাচলের ফলে একপাশের বিস্তীর্ণ ফসলি জমিও নষ্ট হয়েছে। প্রতি ট্রাক মাটি ৯শ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন এ মাটি টানার কাজে ৭/৮ টি ট্রাক নিয়োজিত। নিজের ইটের ভাটায়ও ওই মাটি নিচ্ছেন।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি