ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। এ মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত অংশটি আট লেন বিশিষ্ট।
অথচ এ মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাইনবোর্ড এলাকায় ইউলুপের অভাবে নিত্যদিন, বিশেষ করে সকালে ও সন্ধ্যায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলকালীন যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
এ সময় মহাসড়কটিতে প্রতি ১০ মিনিট পরপর একদিকের গাড়ি থামিয়ে অন্যদিকের গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দিতে হয়। অথচ সাইনবোর্ড মোড়ে একটি ইউলুপ তৈরি করে অনায়াসেই যানজট দূর করা সম্ভব।
প্রয়োজন অনুযায়ী ইউলুপ বা আন্ডারপাস নির্মাণ না হওয়ায় এ মহাসড়কে চলাচলকারীরা আট লেন প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন না।
অপ্রিয় হলেও সত্য, সড়ক-মহাসড়কে প্রায়ই অপরিকল্পিত ও দায়সারা উন্নয়ন কাজের দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দেশের মানুষ। এর ফলে মূল্যবান শ্রমঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে রাজধানীতে সম্প্রতি নির্মিত ‘ইউটার্ন’গুলোর কথা উল্লেখ করা যায়। অপরিকল্পিতভাবে এসব ‘ইউটার্ন’ তৈরি করায় যানজট না কমে বরং বেড়েছে। সড়কে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হলে এর সবকিছু সুপরিকল্পিত উন্নয়নের আওতায় আনতে হবে।
যানজটের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতির ওপরও। কয়েক বছর আগে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত এক সেমিনারে বলা হয়েছিল, যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতি বছর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে আনুমানিক ৩ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় ২৫ হাজার থেকে ৪২ হাজার কোটি টাকা।
দিন দিন যানজট পরিস্থিতি যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ যে আরও বাড়বে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কাজেই যানজটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসা সময়ের দাবি।
এজন্য দেশি-বিদেশি সদস্যের সমন্বয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করা যেতে পারে, যারা যানজটের প্রকৃত কারণ নির্ণয়সহ সমাধানের পরামর্শ দেবেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি ইউলুপ নির্মাণসহ সারা দেশের যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এটাই কাম্য।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি