কালের খবর : হরিরামপুরের ব্রিজের নিচে ঝুলন্ত মৌচাকের সারি তারই সাক্ষ্য দেয়। মৌমাছিরা যেন মধু আহরণের পর মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের পিপুলিয়া ব্রিজের নিচে অবস্থান নিয়েছে।। ব্রিজটির নিচে প্রায় ৫০টি মৌচাকে মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। একসঙ্গে এত মৌচাকের মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশ দেখতে প্রায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ ব্রিজের কাছে ভিড় করছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে ব্রিজটিতে মৌমাছি বাসা বাঁধে। বছরের অন্য সময় ২০-২৫টি মৌচাক থাকলেও শীতকালে মৌমাছির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
কারণ শীত মৌসুমে খেতের পর খেতে সরিষা চাষ হয়। ফলে সরিষা মৌসুম আসতেই বাড়তে থাকে মৌমাছির চাক। কিন্তু সেটা যে এত বেশি হবে বোধকরি অনেকের ধারণাতেই আসেনি। একই জায়গায় প্রায় ৫০টি মৌচাক তাই এলাকাবাসীর মনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সে খবর যখন এলাকা ছাড়িয়ে বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে তখন ঢল নামে মানুষের। এখন তাই প্রতিদিন মৌচাকগুলো দেখতে লোকসমাগম লেগেই থাকে।
স্থানীয়রা বলেন, মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে চাক ঘিরে ঘুরে বেড়ায়। তখন এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মৌমাছির উড়ে চলার ভোঁ ভোঁ শব্দ।
হরিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ব্রিজের চারদিকে বিভিন্ন শস্যের খেত থাকায় সারা বছর মৌমাছিদের খাবারে কোনো সমস্যা হয় না। তাই মৌমাছির পরিমাণও বেশি থাকে।
জায়গাটি মৌমাছির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ায় সারা বছরই এখানে মৌমাছিরা মৌচাক গড়ে। শীত মৌসুমে চাকের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এবারই প্রথম মৌচাকের পরিমাণ অধিক হয়েছে।
স্থানীয়রা মৌমাছিদের ঘাঁটায় না বলে তাদের আক্রমণের শিকারও হয় না কেউ। তাই অনেক মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে মৌমাছির চাক দেখার জন্য আসেন।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি