দীর্ঘদিন ধরে তিল তিল করে বেশকিছু টাকা জমিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল নতুন মোটরসাইকেল কিনবেন। কিন্তু মোটরসাইকেল না কিনে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার কাজে ব্যয় করলেন সেই টাকা। ইট কিনে দিলেন। আর স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের গ্রামের কর্দমক্ত রাস্তায় ইট-বালু বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করলেন।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর গ্রামের বাসিন্দা হাফেজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তার এই উদ্যোগ নানা মহলে প্রশংসিত হয়েছে। এর আগে তার নেতৃত্বে স্থানীয় আলেমরা করোনায় মৃতদের দাফন করায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তারা খুলনা অঞ্চলে করোনায় মৃত অর্ধশতাধিক লাশের দাফন করেছেন। এই কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে।
শরাফপুর ইউনিয়নের কাগজীপাড়া বাজার থেকে কেয়াখালী গ্রামের জসীম উদ্দীন মোড়লের বাড়ি হয়ে আমির হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের কয়েকটি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে তিন হাজার ইট বিছানো হয়েছে। এরফলে কাঁচা সড়কটি মাত্র দুইদিনের মধ্যে চলাচলের উপযোগী হয়।
এছাড়া দত্তডাঙ্গা গ্রাম, আসাননগর, সেনপাড়া গানী বাড়ির রাস্তা, তৈয়বপুর মেইন রাস্তা, শরাফপুর গোলদার বাড়ির রাস্তা, সাহেবখালী রাস্তা, ঝালতলা রাস্তারও সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ওয়াহিদুজ্জামান।
মো. ওয়াহিদুজ্জান কালের খবরকে বলেন, সোমবার (৫ অক্টোবর) তিনি স্থানীয় দত্তডাঙ্গা গ্রামে তারই উদ্যোগে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজের তদারকি করতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় দেখতে পান কয়েকজন নারী গ্রামের কর্দমক্ত রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এ সময় একজন নারী পা পিছলে পড়ে গেলে তার কাপড় কাদায় ভরে যায়।
তিনি বলেন, তখন সিদ্ধান্ত নেন যে কোনোমূল্যে রাস্তাটি সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করার। ভাবতে ভাবতে নিজের মোটরসাইকেল কেনার জন্য গচ্ছিত ৯০ হাজার টাকা দিয়ে ইট কেনার সিদ্ধান্ত নেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তার করুণ দশা। সরকারের কাছে এ সব রাস্তা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।