ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: নিশাত সাইয়ীদা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার সন্ধ্যার দিকে ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইসলামী কিন্ডার গার্টেনে এই ঘটনা ঘটে। আহত তৌফিকুর রহমান (১২) পৌর এলাকার পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের তুষার আহম্মেদ বুলবুলের ছেলে ও ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইসলামী কিন্ডার গার্টেনের হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
আহত শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান বলেন, পড়া না পারার কারণে শিক্ষক হযরত আলী গাছের ডাল দিয়ে মারধর করেছে। শনিবারও একই রকম মারধর করে। পরে আজ মারের যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে অভিভাবকদের জানালে তারা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হযরত আলী মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই শিক্ষার্থী কোনো পড়া দিতে পারেনি। বারবার বুঝানোর পরও সে পড়া দিতে না পারায় রাগান্বিত হয়ে তাকে বেত দিয়ে মারধর করেছি । মারপিট একটু বেশি হয়ে গেছে। আমি এতে খুবই মর্মাহত।
ভূঞাপুর ফাযিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুছ সোবহান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কী কারণে শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে, সেটা জানতে পারিনি। হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে গিয়েছিলাম।
ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: নিশাত সাইয়ীদা বলেন, ওই শিক্ষার্থীর হাত-পা, উরু, ঘাড়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের কারণে লাল হয়েছে ও ফুলে গুরুতর জখম হয়েছে। শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাসরীন পারভীন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। শিক্ষকসহ ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।