নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় থাকা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতিষ্ঠানটিতে ভুয়া চিকিৎসক হয়েও এক ব্যক্তি সেবা দেয়া, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনহীন অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য রাখার দায়ে হাসপাতালটিকে এ জরিমানা করা হয়।
এসময় ভুয়া চিকিৎসক হয়েও সেবা দেয়ার দায়ে ইউনানী হেমিক মিজানুর রহমান আটক করে আদালত তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
এছাড়াও হাসপাতালটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার মো. হাসিনুর রহমানকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
পলাশ কুমার বসু জানান, ভূয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিজানুর রহমান মূলত ইউনানি চিকিৎসক। তার প্যাডে এলোপ্যাথি চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি নিজেকে হেকিম নয়, ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি অসংখ্য ভুয়া ডিগ্রি তার প্রেসক্রিপশনে যুক্ত করেছেন। যার কোনো সত্যতা ও ভিত্তি নেই। শুধু প্রতারিত করতেই তিনি ভুয়া ডিগ্রি যুক্ত করেছেন। এতে করে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য, অর্থের তিনি ক্ষতিসাধন করেছেন। তার চিকিৎসার জন্য রয়েছে সাময়িক সনদ। কিন্তু তাতে কী!
তিনি কখনও লিভার বিশেষজ্ঞ, কখনও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। নামের পাশে আরও যুক্ত পিএইচডি, এমফিলসহ নানা ডিগ্রি। নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়েই গত ১২ বছর ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এর কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এ কারণে ভুয়া চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি এমন ভুয়া চিকিৎসককে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রচার ও চেম্বারে বসার সুযোগ দেয়ায় হাসপাতালটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার মো. হাসিনুর রহমানকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়াও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনহীন অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য রাখার দায়ে সবমিলে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ লাখ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি