খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইভান এন্টারপ্রাইজ। যা শেষ হয় ২০১৮ সালে। সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৮০ লাখ টাকা। এই সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিন রাধানগর, কালিকাপুর, অরসপুর, নবীপুর, জগমোহনপুর ও লুন্দিয়া গ্রামের প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ উপজেলা শহরে যাতায়াত করে। এছাড়াও যাত্রী ও মামলামাল বহন করতে রিকশা-অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি চলাচল করে।
অভিযোগ রয়েছে, সড়কটি নির্মাণে রড ব্যবহার করা হয়নি। এছাড়া পরিমাণে কম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কটি নির্মাণের সময় স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের কোন তদারকিও ছিল না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
আগানগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য দানিছ মিয়া জানান, কিছুদিন আগে প্রবল বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে যাওয়ার পর দেখা গেছে রাস্তার ভেতরে কোনো রড নেই। সিমেন্ট-কংক্রিটের পরিমাণও কম ছিল বলে তার ধারণা। যার কারণে এতো অল্প সময়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক জুবায়ের আলম বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। আর প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।’
তিনি জানান, প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মাটি ভরাট করে রাস্তাটি পূণ:নির্মাণ করা হবে। তবে সড়কে কি পরিমাণ রড ব্যবহার করা হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানান তিনি।