স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম হাসান, কালের খবর : বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে গত বছরের ৯ মে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অন্তত ৩৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নামে পুরো দেশজুড়ে। নিহত বাংলাদেশিদের অধিকাংশই সিলেটী হওয়ায় শোকে মাতম হয় বিভিন্ন জেলা উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশে।
ঘটনার এক বছর পর মানব পাচার মামলার অন্যতম এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯ গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম রফিকুল ইসলাম। সে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কাঠালীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার ১ জুন তাকে বিশ্বনাথ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া কর্মকর্তা ওবাইন রাখাইন।
গ্রেপ্তারলৃত রফিকুল ইসলামের নামে এ ঘটনায় সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মিলে মোট ৪ টি মামলা রয়েছে। ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির এ ঘটনায় এ পর্যন্ত র্যাব ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া কর্মকর্তা ওবাইন রাখাইন। তিনি বলেন, রফিকুলকে গ্রেপ্তারের পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ।
এর আগে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মানব পাচার মামলায় রফিকুলের মেয়ে পিংকি অনন্যা প্রিয়াকেও গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব।
গত বছরের ৯ মে রাতে লিবিয়া থেকে নৌকাযোগে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হন এবং ১৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে তিউনিশিয়া কোস্টগার্ড।
এ ঘটনায় নিহত রেদওয়ানুল ইসলাম খোকনের ভাই রেজাউল ইসলাম রাজু বিশ্বনাথ থানায় রফিকুল, তার ছেলে পারভেজ আহমদ, মেয়ে পিংকি ও আরেক মানব পাচারকারী এনামুল হক এনামসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এর পর দেশের আরও পাঁচটি থানায় রফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের কিছু মামলা দায়ের করা হয়।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি