ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ তাড়াইল ( কিশোরগঞ্জ) থেকে কালের খবরঃ কিশোরগন্জের তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তারসহ এ পর্যন্ত ১৬ জন কোভিড১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালটি প্রায় করোনার দখলে চলে গেছে।
জানা যায়, কিশোরগন্জের তাড়াইল উপজেলায় ২০ এপ্রিল সোমবার পর্যন্ত আইইডিসিআর এ ৮১ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে, এর মধ্যে ৫৯ জনের রেজাল্ট দেয়া হয়েছে। ২০ জন কোভিড ১৯ পজেটিভ। অর্থাৎ নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৩৯ জন নেগেটিভ। পেন্ডিং আছে ২২ জন। এর মধ্যে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ১৬ জন। এরা হল- ডাক্তার ৭ জন, স্যাকমো ২ জন,নার্স ৪ জন,ক্লার্ক ১ জন,আয়া ১ জন, সুইপার ১ জন।
অন্যরা হল-
১ নং তালজাঙ্গা ইউনিয়নের ভাটগাওয়ে ১ জন। সদর তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়নে দড়িজাহাঙ্গিরপুর ১ জন, শিমুলাটি ১ জন, ইটনা উপজেলা রায়টুটি ইউনিয়নের পচাশিয়া গ্রামের ১ জন। যার নমুনা দেওয়া হয়েছিল তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। করোনায় আক্রান্ত না হওয়া অন্য ডাক্তারসহ কর্মচারীরা ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ফলে তাড়াইলের এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে যায়। এ অবস্থায় তাড়াইল উপজেলার চিকিৎসা সেবার চরম ব্যাঘাত ঘটার আশংকা প্রকাশ করছে এলাকাবাসী । সাধারণ, জটিল ও ইমার্জেন্সি রেগীরাও এখন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে চায়না।এ অবস্থায় উভয় সংকটে পড়েছে তাড়াইল উপজেলার জনগণ। অপর দিকে, করোনার প্রতি সাধারণ মানুষের ভয় থাকলেও কিছু সংখ্যক লোকজন আমলে নিচ্ছে না সরকারি কোনো বিধি নিষেধ।রাস্তাঘাট,হাটবাজার,প্রতি স্পটে যেন লোকে লোকারণ্য। যানবাহন চোখে পড়ার মত। অনেক রাস্তার উপর জ্যাম লেগে থাকতে দেখা যায়।সচেতনমহল মনে করেন, এভাবে চলতে থাকলে তাড়াইলে করোনার ভয়াবহ রুপ দেখতে হতে পারে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি